শুক্রবার খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর দেশীয় নয়।

সে কারণে তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কিনা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় ১টি ভূমি  ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল। নেত্রী দীর্ঘদিন সেখানে আসেননি। আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৮২ বর্ষের একবার এসেছিলেন।

ঘাট অতিক্রম হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে ক্রয় পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে  এলাকা। এর আগে, সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ বর্ষের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদ সংসদে আজ শেষ ভাষণ দেবেন

তবে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা দেখা করতে পারবেন।
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। অতীতের সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এই জমি দেখাশোনা করতেন।

আরও পড়ুনঃ সংসদের ২১তম অধিবেশন শুরু বিকেলে

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এই জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে উনি তার পার্সোনাল আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।