ব্রাজিলকে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে  বাংলাদেশে নিয়োজিত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস

রোববার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ব্যবসা প্রসারণে ব্রাজিল সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানান। এই প্রেক্ষাপটে তিনি ব্রাজিলের সঙ্গে এবং আরও তিনটি মার্কোসুর (দক্ষিণ সাধারণ বাজার) দেশ- আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে স্নাতক হবে।

আরও পড়ুনঃ মামলায় লড়বে রোবট আইনজীবী, কমবে খরচ

মার্কোসুর দেশগুলোর সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে কৃষি হেল্প বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।

ব্রাজিলের মার্কেটে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রপ্তানি পণ্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাজিলের মার্কেটে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির কারণে ফার্মা আইটেমগুলো বর্তমান কতিপয় সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হচ্ছে। শেখ হাসিনা ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ করোনায় আরও ৯০১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখের নিচে

রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বহু বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে ছায়া দিয়েছে, যা দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, প্রতি বছর ৩০ হাজার নতুন শিশুর উদ্ভব দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলের মৃত্যুতে  প্রকাশের একসাথে তার পরিবার এবং ব্রাজিলের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৌদিতে, অর্থনৈতিক সংকট কাটবে?

রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের মার্কেটে বাংলাদেশি প্রস্তুত পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বিশাল বাজার হতে পারে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক হেল্প জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

পাওলো ফার্নান্দো দুই দেশের মধ্যে জনগণ হতে জনগণ ও ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ি যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।