বাংলাদেশে তুরস্কের বৃহত্তর বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুনঃ রংপুরে ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪৫ শতাংশ : সিইসি
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে তার রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬২
তিনি বলেন, দুইটি তুর্কি কোম্পানি এ বছর অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই পর্যন্ত ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সকল ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী পরের বাংলাদেশ-তুরস্ক জয়েন্ট ইকোনমিক গ্রুপের বৈঠক দ্রুত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যেখানে সহযোগিতা বাণিজ্য, ব্যবসা এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। কমিশনের তৎকালীন বৈঠকটি ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক হয়েছে। তুর্কি রাষ্ট্রদূত প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মোস্তফা ওসমান তুরান বাংলাদেশে একটি সুপার স্পেশাল হাসপাতাল স্থাপনে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং এর জন্য যোগ্য স্থান চেয়েছেন জবাবে প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে অথবা পদ্মা সেতুর পাশে জমি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তুর্কি রাষ্ট্রদূত স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণাটির গ্রহণে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একত্রে কাজ করার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। উনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মডার্ন তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে অতিশয় পপুলার ও কামাল একটি ঘরে ঘরে অবগত নাম। তিনি বলেন, নিজের ছোট ভাইয়া শেখ কামালের নাম তাঁর (কামাল আতাতুর্ক) কাজ হতে অনুপ্রাণিত হয়ে নেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?