‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছিল, শারজিল-সহ ১০ জন, অব্যাহতি দিল আদালত
ভারতে ছাত্র আন্দোলনের নেতা শরজিল ইমাম, সফুরা জারগরসহ অন্যদের ২০১৯ সালের জামিয়া হিংসা মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। শনিবার অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে জামিয়ানগর থানায় যে মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল সেই মামলা থেকে তাদের নিষ্কৃতি দেওয়া হচ্ছে।
ভারতে ছাত্র আন্দোলনের নেতা শরজিল ইমাম, সফুরা জারগরসহ অন্যদের ২০১৯ সালের জামিয়া হিংসা মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। শনিবার অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে জামিয়ানগর থানায় যে মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল সেই মামলা থেকে তাদের নিষ্কৃতি দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লির আদালত
- ২০১৯ সালে জামিয়া হিংসায় অভিযুক্ত ১১ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল দিল্লির এক আদালত । এদের মধ্যে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতা শারজিল ইমাম, সফুরা জারগর প্রমুখ। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, “ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই একটি রূপ।” এমনকী বলা হয়েছে, শারজিল, সফুরাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছে পুলিশ।
বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। এর পরই ভারতের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহসহ একাধিক মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে।
দিল্লির দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা অবশ্য জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শারজিলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। বরং তিনি বলেন, 'অ্যাজেন্সিগুলোর উচিত আসল দোষীকে ধরা, ভিন্নমত পোষণকারীদের নয়। অ্যাজেন্সি নিজের সুবিধার জন্য ভিন্নমত এবং দাঙ্গাকারীদের মধ্যে তফাৎ তা মুছে দিতে পারে না।'
_________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ বিডার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
_________________________________________________________
আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি
- এদিন দিল্লি পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন বিচারক। বিরুদ্ধমত পোষণ করার কারণে ছাত্রনেতাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ তাঁদেরকে বলির পাঁঠা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং অসংবিধানিকভাবে জমায়েতের কারণে ১৪৩,১৪৭, ১৪৮,১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০৮, ৪২৭, ৪৩৫, ৩২৩, ৩৪১, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। ২০১৯ সালে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। মুম্বই, দিল্লির পাশাপাশি বিহারের জহানাবাদে তাঁর পৈতৃক ভিটেতেও হানা দিয়েছিল পুলিশ আধিকারিকরা। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক মন্তব্য করেছিলেন শারজিল।
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে শরজিলের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তর প্রদেশের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন শরজিল।
What's Your Reaction?