তুরস্কে আবারও ভূমিকম্প, নতুন করে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অনেকে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নতুন করে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর ঠিক পরপরই ৫ দশমিক ৮ আরেকটি কম্পন অনুভূত হয় সেখানে।
নতুন ভূমিকম্পে তুরস্কে আরও তিন জন নিহত হয়েছেন। ভবন ধসে পড়ে আটকা পড়েছেন অনেকে। এছাড়া নতুন কম্পনে তুরস্ক-সিরিয়ায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৮০ জন মানুষ। সোমবারের এই কম্পনের ফলে দেশ দুটিতে আগে থেকে দুর্বল হয়ে পড়া ভবনগুলো ধসে পড়ে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোলো জানিয়েছেন, নতুন ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে আন্তাকিয়া, দেফনে ও সামানদাগিতে। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে আপাতত প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আন্তাকিয়া শহরের তথ্য তুলে ধরে বিবিসি জানিয়েছে, সেখানে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
নতুন ভূমিকম্পের সময় শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি পার্কে তাঁবুতে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মুনা আল-ওমর। সাত বছরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার পায়ের নিচ থেকে পৃথিবী বিভক্ত হয়ে যাবে। ’
৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে আল মাজলুমের পরিবারের সদস্যরা এখনো নিখোঁজ। সোমবার রাতে যখন নতুন করে ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন তিনি তার পরিবারের সদস্যদের মরদেহের সন্ধান করছিলেন।
১৮ বছর বয়সী এই যুবক বলেন, ‘তখন কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমরা একে অপরকে আঁকড়ে ধরলাম। আমাদের সামনেই দেয়ালগুলো পড়তে শুরু করল। ’
_____________________________________________________
আরও পড়ুনঃ নতুন ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ৬ শতাধিক
_____________________________________________________
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে দুপুরের দিকে তুরস্কে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হন। লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
What's Your Reaction?