প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই নিজেরাই ছাপাতে চায় ,গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ‌্যমে পাঠ‌্যবই ছাপানোর জন‌্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

Feb 28, 2023 - 17:16
 0
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই নিজেরাই ছাপাতে চায় ,গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংগ্রহীত ছবি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ‌্যমে পাঠ‌্যবই ছাপানোর জন‌্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।


প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই নিজেরাই ছাপাতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যথাসময়ে পাঠ্যবই সরবরাহ, মুদ্রণ মান তদারকি ও নিশ্চিত এবং ভুলত্রুটিমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য দু-একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে নিজেরাই দরপত্র প্রক্রিয়া করে পাঠ্যবই মুদ্রণ করবে মন্ত্রণালয়।

________________________________________________________________________

আরও পড়ুনঃ  সরকার পতন ছাড়া এদেশের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল
________________________________________________________________________


তবে, নির্বাচনী বছর হওয়ায় ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বই আগের মতো এনসিটিবির মাধ্যমেই ছাপা হবে। এজন্য এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিকের ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের পাঠ্যবই সব উপজেলায় পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরকার প্রধানের অনুমোদন মিললে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্ব পাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

এসব বিষয় নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম তৈরি, বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণসহ আনুষঙ্গিক কাজে এনসিটিবি ‘ওভারলোডেড’ (কাজের ভারে ন্যুব্জ)। এ কারণে ডিপিই-এর মাধ্যমে কেবল বই মুদ্রণের চিন্তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এছাড়া বইয়ের মুদ্রণ ও কাগজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

তাই বেসরকারি প্রকাশকদের মাধ্যমে যদি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বই ছাপানো সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সরকারি ছাপাখানায় (বিজি প্রেস) কাজটি করানোর চিন্তাও আছে। দু-একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নীতিগত সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে ২০২৪ সালের পাঠ্যবই এনসিটিবির মাধ্যমেই মুদ্রণ করানো হবে। এজন্য একটি সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে। সেটি অনুযায়ী অক্টোবরের মধ্যে মুদ্রণকাজ শেষ করে পাঠ্যবই নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় সরবরাহের পরিকল্পনা আছে।

২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বই ছাপানো নিয়ে গণশিক্ষা সচিব বলেন, এ বছর নির্বাচনী বছর। গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছি আমরা। এরই মধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে সভা করে কর্মপরিকল্পনা করেছি। এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো। এ বছর আমরা নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিশ্চিত করবো। এজন্য যা যা করা দরকার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা করা হবে। 

প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ কোটি ৯৮ লাখ কপি বই ছাপানো হয়েছিলো। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিলো চলতি বছরের জন্য। এ পুরো কাজটি হয়েছে এনসিটিবির তত্ত্বাবধানে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow