পিবিআই কর্মকর্তা সেজেছিলেন অনিক!
তোমার নামে পিবিআইতে একটি মামলা হয়েছে এবং মামলার ওয়ারেন্ট আছে। তুমি আমাদের নগদ বা বিকাশ করে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। তাহলে আমরা আর আসবো না, মামলাটি এখানেই শেষ করে দেব।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ব্যাপারটা জানিয়েছেন পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার।
তিনি বলেন, এটি পিবিআইয়ের নামে প্রতারণার মতো একটি দুঃসাহসিক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এই মামলা দায়েরের পর পরই ওই প্রতারককে গ্রেপ্তারে নানারকম কার্যক্রম করা হয়। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বল্প টাইমের মধ্যেই ঠক চক্রের সেরা প্রধান আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বক্তব্য দিচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের, ভেঙে পড়ল মঞ্চ
নিজেকে পিবিআই ময়মনসিংহের এসআই ফারদিন আহম্মেদ পরিচয় দ্বারা ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা এলাকার রাশিদুল ইসলাম রাশিদ নামে এক ব্যক্তির কাছে এভাবেই টাকা দাবি করে একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুম অনিক নামে এক প্রতারক।
এসময় সে রাশিদুলের ইমো নম্বরে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত একটি ভুয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কপিও পাঠায়। পরবর্তীতে টাকার জন্য বেশ কয়েকবার কল করে চাপ দিতে থাকে ওই প্রতারক। কিন্তু রাশিদুল সেই ফাঁদে পা না কর্তৃক বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করেন পিবিআই ময়মনসিংহ অফিসে। তখন উনি প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন এবং ১টি অভিযোগও দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ সরকার আদালতে কখনো হস্তক্ষেপ করে না: আইনমন্ত্রী
অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টায় অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উচাখিলা এলাকা থেকে প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম নামান্তরে অনিককে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
তিনি আরও বলেন, ভণ্ড চক্রের সকল সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ মামলার প্রতারক চক্রের সদস্যরা বৃহত্তর ময়মনসিংহে নানারকম সরকারী জবের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জাল-জালিয়াতিসহ ডিজিটাল প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে প্রতারণার একাধিক মামলা বিদ্যমান বলেও জানান তিনি।
What's Your Reaction?