গ্যাসের দাম কমানো যায়, হিসাব দেখাল বিজিএমইএ
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গ্যাসের নতুন দর ঠিক করেছে সরকার। তবে, সব খরচ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করলেও গ্যাসের দাম আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছে বিজিএমইএ।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গ্যাসের নতুন দর ঠিক করেছে সরকার। তবে, সব খরচ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করলেও গ্যাসের দাম আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছে বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইয়ের স্থায়ী কার্যালয়ে পোশাকশিল্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ফারুক হাসান এ মন্তব্য করেন।
ভর্তুকির চাপ কমাতে ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের নতুন যে দর ঠিক করেছে সরকার, সব রকম খরচ হিসাবে ধরলেও তা আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছে বিজিএমইএ।
________________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব ইসির
________________________________________________________________________
বিজিএমই
- মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমই এর স্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ফারুক হাসান হিসাব দেখিয়ে এই একথা বলেন। স্পট মার্কেট বা খোলা বাজার থেকে চড়া দামে এলএনজি কিনতে গিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে। আগে যেখানে গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে, এখন শিল্প-বাণিজ্যের গ্রাহকদের ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশীয় গ্যাস, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি গ্যাস এবং খোলা বাজার বা স্পট মার্কেট থেকে তাৎক্ষণিক কেনা এলএনজি গ্যাসের মিশ্রণই জাতীয় গ্রিডের গ্যাস। এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির গ্যাসগুলোর দাম প্রতি ইউনিট ১২ থেকে ১৩ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আর স্পট মার্কেটের এলএনজি এক সময় বেড়ে গিয়ে প্রতি ইউনিট ৭০ ডলারে উঠে গেলেও এখন সেটা কমে ১৭/১৮ ডলারে নেমেছে।
______________________________________________________
আরও পড়ুনঃ চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ৩ গ্রুপের সংঘর্ষ
______________________________________________________
আন্তর্জাতিক বাজার
- “আমরা বিজিএমইএ থেকে যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে আগে যখন বেশি প্রাইস ছিল, সেই সময় গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছিল। এখন স্পট এলএনজির দামটা অনেক কমেছে। ফলে সরকার এখন যে দামটা ঘোষণা করেছে, তা হিসাব করে দেখলে আরও কমে আসবে।”
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশীয় গ্যাস, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি গ্যাস এবং খোলা বাজার বা স্পট মার্কেট থেকে তাৎক্ষণিক কেনা এলএনজি গ্যাসের মিশ্রণই জাতীয় গ্রিডের গ্যাস। এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির গ্যাসগুলোর দাম প্রতি ইউনিট ১২ থেকে ১৩ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আর স্পট মার্কেটের এলএনজি এক সময় বেড়ে গিয়ে প্রতি ইউনিট ৭০ ডলারে উঠে গেলেও এখন সেটা কমে ১৭/১৮ ডলারে নেমেছে।
“আমরা বিজিএমইএ থেকে যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে আগে যখন বেশি প্রাইস ছিল, সেই সময় গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছিল। এখন স্পট এলএনজির দামটা অনেক কমেছে। ফলে সরকার এখন যে দামটা ঘোষণা করেছে, তা হিসাব করে দেখলে আরও কমে আসবে।”
What's Your Reaction?