তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা মৃত্যু বেড়ে ৩৪

গত  দিন ধরে তুষারঝড়ের সাথে যুদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পর্যন্ত দেশটিতে তুষারঝড়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৩৪ জনের। একই সাথে প্রতিবেশী দেশ কানাডাতেও তুষার ঝড়ের  পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের

Dec 26, 2022 - 13:29
 0
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা মৃত্যু বেড়ে ৩৪
উত্তর আমেরিকাজুড়ে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে

গত  দিন ধরে তুষারঝড়ের সাথে যুদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পর্যন্ত দেশটিতে তুষারঝড়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৩৪ জনের। একই সাথে প্রতিবেশী দেশ কানাডাতেও তুষার ঝড়ের  পড়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর আমেরিকাজুড়ে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বহু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহর। 

আরও পড়ুনঃ  সাগরে ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যুর আশঙ্কা ইউএনএইচসিআরের


অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের মেরিট শহরের কাছে একটি বরফাচ্ছাদিত রাস্তায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে চারজন নিহত হয়েছেন। 

বার্তা কোম্পানী এপি জানিয়েছে, তুষার ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকা। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় কয়েকটি এরিয়ায় কারেন্ট যোগাড় সচল করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ২ লাখের অফার গ্রাহক কারেন্ট বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তার প্রথমে সংখ্যাটি ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। 

তুষার ঝড়ের কারণে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে বশীভূত হয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। বহু ব্যক্তি বড়দিনের উৎসবে যোগ দিতে পরিবারের কাছে যেতে পারেননি। মার্কিন প্রশাসন ‘শীতল বায়ু সতর্কতা’ জারি করেছে। ফলে ৫ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি ব্যক্তি কোথাও যেতে পারেননি। 

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস হতে কানাডার কুইবেক পর্যন্ত দুই হাজার মাইলজুড়ে নজিরবিহীন বরফ ঝড় বইছে।  শুক্রবার বায়ুমণ্ডলের চাপ ফাস্ট কমে ঝড়টি ‘বোম্ব সাইক্লোনে’ রূপ নেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমানায় হিম ঝড়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালের এই ঝড়কে সাধারণত ‘বোম্ব সাইক্লোন’ বলা হয়। 

নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, ‘বাফেলোর ইতিহাসে এরূপ ঝড় আগে দেখা যায়নি। ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হিসেবে লেখা থাকবে।’ 

এরি কাউন্টির নির্বাহী মার্ক পোলোনকারজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় তুফানের  পড়ে সাতজন মারা গেছেন। এই ছাড়া ভারমন্ট, ওহিও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস ও কলোরাডোতেও ঝড়ের ফাঁদে পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মন্টানা রাজ্য সবচেয়ে দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। 

অন্যদিকে কানাডার অন্টারিও এবং কুইবেক রাজ্য তুষারঝড়ে সর্বাপেক্ষা বেশি ধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল রোববার কুইবেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন। কর্মকর্তারা বলছেন, কারেন্ট সরবরাহ পুনরায় সচল করতে কতিপয় দিন টাইম লাগতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow