জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় গবেষকদের বিকল্প সমাধান বের করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোবিলাইজেশনের দ্বারা গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এই কে আব্দুল মোমেন
মোবিলাইজেশনের দ্বারা গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এই কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী আজ সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড প্রযুক্তি অনুষদের আয়োজিত ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি জয়েন হয়ে সেরা অতিথির কথ্য এই মন্তব্য করেন।
এ টাইম পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ মোবিলাইজেশনের দ্বারা শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক বাড়াতে হবে যা প্রকৌশল গবেষণা ও উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বজায় রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ভর্তি পরীক্ষায় আবারও বড় পরিবর্তন আনছে ঢাবি
ড. মোমেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পরে অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো সমানভাবে বাংলাদেশও জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ মোকাবেলায় গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের বিকল্প সমাধান বের করতে হবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য পারে। এই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সহস্রাব্দ টার্গেট অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেরা সাকসেস দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে এসডিজি অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি। এসময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ১টি আধুনিক জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার সম্ভাষণ জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ রমজানে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না, দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর
সম্মেলনের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা কামরুন নাহার এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সিয়ামুল বাশারের সঞ্চালনায় বিশেষ কুটুম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়াও সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের যে স্থানে কখনো রাত হয় না!
নতুন সহস্রাব্দে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্রযুক্তির বিভিন্ন ফিল্ডের আধুনিক অগ্রগতি অনুসরণ এবং একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ এবং স্থাপত্য’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স’, ‘কেমিক্যাল, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং’ ও ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এই চারটি বিষয়ের উপর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ১৪টি রাষ্ট্রের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের ১৯০টি নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
আরও পড়ুনঃ কিডনিতে পাথর জমেছে কি না বুঝে নিন পেটের ৫ লক্ষণে
সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অনুষদের এটা ৭ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার হতে ১৪ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন চলবে। এতে দেশ-বিদেশের প্রকৌশলী, গুরু এবং শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও শিক্ষার উন্নয়নের ওপর তাদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। নিবন্ধনকারীদের মধ্য হতে এবারের সম্মেলনে ১৯০টির অধিক বাছাই করা হয়েছে। তিনদিনে ৪টি প্লেনারিসহ ৩৪টি কারিগরি সেশনে এসব গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুনঃ শীতের হলুদের ব্যবহার সংক্রমণ কমায় , জেনে রাখুন এর কিছু উপকারিতা
এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৫শ’ জনের অধিক গবেষক অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এবারের সম্মেলনে নিবন্ধন ছাড়াই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের সম্মেলনে প্রবেশ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৎকালীন সম্মেলনগুলো হতে এই সময়ে আরো নতুন পর্যাপ্ত কিছু সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুনঃ ইরানে সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
সম্মেলন আয়োজনকারী কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আজিজুল হক জানান, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল বাস্তবায়ন, জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের সমাধান, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে আয়োজন ও সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জনের জন্য টেকসই উন্নতি সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বিশ্বব্যাপী প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সভায় বিভিন্ন গবেষকরা আলোচনা করবেন। ‘এতে আমাদের নবযৌবনপ্রাপ্ত স্নাতক, শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি নিয়োজিত থেকে উৎসাহিত করবে। যা জাতীয় উন্নয়নের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশে শিল্প আর একাডেমিক সংযোগের বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমরা এই বছর শিল্প বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা এবং গবেষকদের ১টি কমন প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছি।
What's Your Reaction?