আ.লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু বিচার আশা করি না : রেজা কিবরিয়া
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পিতা প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের কোনো সুষ্ঠু বিচার আশা করেন না গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রয়াতের সন্তান ড. রেজা কিবরিয়া।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পিতা প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের কোনো সুষ্ঠু বিচার আশা করেন না গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রয়াতের সন্তান ড. রেজা কিবরিয়া।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত শেষে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আজ পুনর্মিলনীর ব্যবস্থা করে এক্স ক্যাডেটস অ্যাসোসিয়েশন
রেজা কিবরিয়া বলেন
- ‘দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দুই বছর বিএনপি সরকার এবং ১৪ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়—তারা চেষ্টা করেছেন মিথ্যা তদন্ত, মিথ্যা মামলা দিয়ে আসল খুনিদের আড়াল করতে। তাই আমি মনে করি, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ যে শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেখানে আইনের শাসন ও সুষ্ঠু বিচারের আশা করা কঠিন।’
আজ থেকে ১৮ বছর আগে আমার বাবা হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় মারা যান। এ হত্যাকাণ্ডের পর আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করে আসছি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য। কিন্তু ১৮ বছর পরও সেই হত্যার বিচার হয়নি। কেন হচ্ছে না? তা হয়তো দেশবাসী ভালো করে অনুমান করতে পারছেন। এ সময়ের ভেতর দুই বছর বিএনপি সরকার, দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ১৪ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে কেন এ বিচার করতে পারেনি? কেন বিচার করতে চায় না, এটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন এ দেশের জনগণ।
সাংসদ আব্দুল মজিদ খান বলেন, ‘আমি মামলার বাদী, আমি চাই বিচার তাড়াতাড়ি শেষ হোক। আমি সরকারি দলের এমপি। সরকারের লোক এবং আমার লোক নিহত হয়েছেন। আমার প্রত্যাশা তাড়াতাড়ি শেষ হবে।’
বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর আসামিদের আদালতে অনুপস্থিতির কথা বলেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। আরও অনেক মামলার আসামি থাকায় তাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রতিনিয়ত যেতে হয়। আর এ কারণে সব সময় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। আসামির অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণও হয় না বলে বারবার তারিখ পেছাতে হয়।’ মামলার আগামি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি বরে জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট কিশোর কুমারের তথ্যমতে, এ মামলায় ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে: নসরুল হামিদ
কিবরিয়াসহ
- পাঁচ হত্যা মামলার মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে ইতোমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। বাকি ২৯ আসামির মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ ১০ জন জেলে, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ ১২ জন জামিনে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ ৭ জন পলাতক।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুর মুর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার পুত্রবধূ সিমি কিবরিয়া ও চাচাতো ভাই শাহ আজাদ আলী সুমন।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব জিলু খান, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, যুবঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, গাজীপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোবারক হোসেনসহ অনেকে।
What's Your Reaction?