১৬ এপ্রিল থেকে হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন
চলতি বছরের হজের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরু হবে। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের শেষ হবে ৩০ এপ্রিল।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বায়োমেট্রিক ভিসাসংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হজ ২০২৩-এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশব্যাপী একযোগে শুরু হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ঢাকার ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং ঢাকা আশকোনার হজ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন ও রশিদ নেবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পরে পাসপোর্ট এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
লিড এজেন্সি নির্ধারণ:
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হজের নিবন্ধন কার্যক্রম ১১ এপ্রিল শেষ হয়েছে এবং নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে।
যেসব হজ এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৯৭ এর নিচে তারা আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে সমন্বয় করবে। সমন্বয়ের পরে হজ এজেন্সির বিপরীতে প্রযোজ্য গাইড ও মোনাজ্জেম সংখ্যা যোগ করে চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রির জন্য পাঠানো হবে।
হজ এজেন্সির চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে পাঠানোর পর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পিলগ্রিম আইডি দেওয়ার জন্য সিস্টেমে উন্মুক্ত করা হবে।
কয়েক দফা বাড়ানোর পর সব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনা নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৩৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন এক লাখ নয় হাজার ৬৬০ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ জানুয়ারি সম্পাদিত সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি মতে এবছর সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নিতে পারবেন।
What's Your Reaction?