সুরের মূর্ছনায় শুরু ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

বাংলা ১৪২৯ বর্ষের বিদায়। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। নতুন বছরের সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রমনা বটমূলেও শুরু হয়েছে সুরের মূর্ছনা। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে বাংলা ১৪৩০ সালকে বরণ করে নেওয়ার ঐতিহ্যবাহী আয়োজন, ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। 

Apr 14, 2023 - 11:27
 0
সুরের মূর্ছনায় শুরু ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
সংগ্রহীত ছবি

প্রায় আট মিনিটের এই পরিবেশনার পর শুরু হয়েছে গানের পালা। এতে সম্মেলক গানের ফাঁকে ফাঁকে বিশিষ্ট শিল্পীদের একক কণ্ঠেও থাকছে গান ও আবৃত্তি। এবারের গানগুলো সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম ও আত্মবোধন আর জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। ছায়ানটের শিল্পীদের বাজনা মুহূর্তেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় রমনাজুড়ে। 

এদিকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী, লাউড ওয়ার্কস ও থার্টিনথ হুসার্স ওপেন রোভার গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যরা কাজ করছেন।

পয়লা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত বাংলা নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়েছে। সেই থেকে (১৯৬৭) পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। এর মধ্যে করোনার কারণে ২০২০–২১ সালে বর্ষবরণের এই আয়োজন সম্ভব হয়নি। দুই বছর পর গত বছর সাড়ম্বরে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে ছায়ানট।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow