রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন অটলভাবে মধ্যস্থতা করছে : রাষ্ট্রদূত
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চীন অটলভাবে মধ্যস্থতা করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্তি দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
শনিবার (৬ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কসমস ডায়ালগ এম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগনোসিস ফর দ্য ফিউচার) শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এক স্থানীয় বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে, অনেক লোক অনেক কথা বললেও, কেবল চীনই প্রত্যাবাসন এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাস্তবে কাজ করছে। বেইজিং বিপুল ত্যাগ স্বীকার করে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে।
উন্মুক্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির পক্ষে কথা বলার সময় ‘একতরফা অংশের’ বিরোধিতায় ঢাকাকে বেইজিং পাশে চায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, আমাদের সংরক্ষণবাদিতা, ‘দেয়াল ও অন্তরায়’ নির্মাণ, বিচ্ছিন্নতা, একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করা উচিত।
ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন ও বাংলাদেশের উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে তাদের সম্পর্ককে বন্ধুত্বের একটি মডেল হিসেবে গড়ে তোলা এবং অভিন্ন ভবিষ্যতের সঙ্গে মানব সমাজ গঠনে অবদান রাখা। আমাদের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতাকে রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৃহত্তর গণতন্ত্রকে উন্নীত করা এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও পক্ষপাতশূন্য করার জন্য একসঙ্গে কাজ করা। আমরা একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ এবং সুবিধার প্রচারের ওপর জোর দিয়েছি।
কসমস ফাউন্ডেশন একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
What's Your Reaction?