ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৮৩। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৮৩। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা। খবর সিএনএন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করেছে, উভয় দেশে ভূমিকম্পের কারণে ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভূমিকম্পে উভয় দেশে ধসে পড়েছে বহু ভবন। যে পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ ভূমিকম্প রেখে গেছে, তাতে উদ্ধারকাজে এখনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। হিমশীতল আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতায় সরকারি ব্যর্থতাও রয়েছে। উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অজ্ঞাতসংখ্যক মানুষ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভূমিকম্পের তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ায় ধসে যাওয়া ভবনগুলো থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে আসছে।
অন্যদিকে এরদোগান এই অভিযোগ বাতিল করে দিয়ে বলেছেন বিপর্যয়ের পর ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। তুরস্কের হাতায় প্রদেশে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে লোকজনের নেতিবাচক প্রচারণা আমি হজম করতে পারছি না।’ এদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের কারণে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামোর জন্য ত্রাণ কাজ চালানো জটিল হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে বলেছেন, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে কোনো আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে।
তবে এ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তা সত্ত্বেও এখনই আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
What's Your Reaction?