ভারতের উপরও নজরদারি চালায় চীনের গুপ্তচর বেলুন : যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করা হয় চীনের একটি কথিত গোয়েন্দা বেলুন। এখন মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, গোয়েন্দা বেলুন ব্যবহার করে পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশের ওপর নজরদারি চালিয়েছে চীন। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র এই নজরদারি কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল না।’
তিনি জানিয়েছেন, ভূপাতিত বেলুনের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তারা।
চীন অবশ্য বেলুন দিয়ে গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি এটি একটি ওয়েদার ডিভাইস (আবহাওয়া যন্ত্র)। যেটি বাতাসে ভেসে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলুনটি ২০০ ফুট লম্বা ছিল। যা একটি বিমানের সমান। আর এটির ওজন কয়েকশ পাউন্ড বা কয়েক হাজার পাউন্ডও হতে পারে।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, কয়েকটি বেলুন ব্যবহার করে ওই নজরদারি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল চীনের উপকূলীয় হাইনান প্রদেশ থেকে এবং তারা নজরদারি চালিয়েছে ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনে।
বুধবার এক সংবাদসম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস চীন বেলুন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়, দক্ষিণ এশিয়ায় এবং ইউরোপে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, ‘আমরা এ বেলুন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি এবং কিভাবে এ বেলুন শনাক্ত করা যায় সেটিও শিখেছি।’
এ সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাঁচটি মহাদেশেই নজরদারি চালানোর জন্য বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু স্থানভেদে এগুলোর আকার ও বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একাধিকবার এ বেলুন ব্যবহার করা হয়েছে।
_____________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার পেলে ‘চাকর হয়ে থাকব’
_____________________________________________________________
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর চীনের বেলুনটি সাগরে আছড়ে পড়ে। এখন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা বেলুনের সব ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করার কাজ করছেন।এসব ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বেলুন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আরও ভালো ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেটি খুঁজে বের করা হবে।
What's Your Reaction?