বৃহত্তর বৈশ্বিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত  কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ আজ (সোমবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে (পিএমও) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ যুদ্ধাপরাধী : ময়মনসিংহ ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কবি মো. নজরুল ইসলাম এই বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বিশ্ব ব্যাংকের এমডি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ‘অবিশ্বাস্য’ হিসেবে ব্যাখা করেন এবং উন্নয়নের এ ধারায় ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের পাশে আছি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিশ্ব ব্যাংকের এমডি।

শেখ হাসিনা তাকে জানান, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২৪ মার্কিন ডলারে। 

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোই মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য দায়ী। কিন্তু সমৃদ্ধ দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পালন করছে না।’ জলবায়ু বদলানোর ইফেক্ট থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে তার সরকার কী করছে তা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তার রাষ্ট্রশাসক গোষ্ঠী ব্যাপক বনায়ন, গ্রিন বেল্ট নির্মাণ, অদক্ষ মানুষের জন্য টেকসই আবাসন ব্যবস্থা ধারণ ও পরের প্রজন্মকে সমৃদ্ধ জীবন দেওয়ার জন্য ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।

সরকার সেরা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকার কারণে তার  বিগত ১৪ সালের ফাস্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পেরেছে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কল্পনা অনুযায়ী দেশবাসীকে একটি সুন্দর এবং পুষ্ট জীবন দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ কাশিমপুর কারাগারে আসামি শুক্কুর আলীর ফাঁসি কার্যকর

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগে জিডিপিতে ক্রমাগত ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত ছিল বাংলাদেশের। কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল, খাদ্যসামগ্রী এবং পরিবহন ব্যয় আকাশচুম্বী হওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলো সমস্যায় পড়েছে।

তিনি বলেন, মহামারি হতে বেরিয়ে আসার পরপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অপব্যয় পেয়েছে ও এটি বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা প্রস্তুত করেছে যা ইদানিং পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের এমডি ট্রটসেনবার্গ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো কতিপয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উচিত নতুন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

বিশ্বব্যাংকের এমডি তিন দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় এসেছেন। তিনি এবারই ১ম বাংলাদেশে এলেন।