বায়ু দূষণের জন্য আমরা দুঃখিত, বৃষ্টি হলেই কমে যাবে: পরিবেশমন্ত্রী
চলতি জানুয়ারি মাসে একদিনও স্বাস্থ্যকর বায়ু পায়নি ঢাকাবাসী। এর মধ্যে গত সপ্তাহ জুড়ে বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষে ছিলো রাজধানী ঢাকা। এই সময় ঢাকার বায়ু ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায়। এবার বায়ুর এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলেন খোদ পরিবেশমন্ত্রী। তবে চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলেই বায়ুমান ঠিক হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বায়ুর মান খুবই দূষিত এজন্য আমরা দুঃখিত। শুধু ঢাকা নয় শীতের সময় ঢাকার আশপাশের সব শহর ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও চীনে বায়ু দূষিত হয়ে যায়।’
শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বায়ু দূষণ কমাতে। বায়ু দূষণের বড় উৎস ইটভাটা। আমরা ইটভাটাগুলোকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি কাজে পোড়ানো ইট ব্যবহার বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বায়ু দূষণের অন্যান্য কারণ হলো- গাড়ির কালো ধোঁয়া, উন্নয়ন কাজের ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া এবং পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে দূষিত বাতাস এসে আমাদের বায়ু দূষিত করে দিচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা রাস্তাঘাটে কাজ করছে তাদের নিয়মিত চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। তারা কিছুটা পানি ছিটাচ্ছেও। তবে আরও বেশি ছিটালে দূষণ কমে আসবে। আমরা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছি। বৃষ্টি এলেই দূষণ কমে যাবে।’
_________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ রেলের ২৮১৭ একর জমি বেদখলে : রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম
_________________________________________________________________
উন্নয়নের পরিবর্তে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন যেখানে হবে সেখানে কিছুটা বায়ু দূষণ হবেই। আর কালোধোঁয়া বায়ু দূষিত করছে। আমরা এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চালাচ্ছি। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়েরও সাহায্য চাচ্ছি। এছাড়া দূষণমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালুর চেষ্টাও করছে সরকার।’
পরিবেশমন্ত্রী নিজে যখন দুঃখ প্রকাশ করে মানুষ তখন কার প্রতি আস্থা রাখবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেটা বাস্তব সেটাতো অস্বীকার করার কিছু নাই। তাছাড়া আমরা একাই যে শীর্ষে থাকছি তা নয়। আমাদের পাশে ভারতের দিল্লী, চীনের সাংহাইও প্রায় সময়ই দূষণে শীর্ষে থাকে। আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু সমাধান করা যায়।’
What's Your Reaction?