বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ, ৪৭০ কোটি ডলার
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওই ঋণের অনুরোধটি অনুমোদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে পেশোয়ার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯
আইএমএফ
- আইএমএফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিসে আরও বলা হয়েছে, ইসিএফ এবং ইএফএফ এর ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে শিগগিরই প্রায় ৪৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। সরকার আশা করছে, এটি ফেব্রুয়ারি মাসেই পাওয়া যাবে।
- জানা গেছে, ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ ৪২ মাসে সাতটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে প্রথম কিস্তির ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার তাৎক্ষণিকভাবে ছাড় করা হবে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশই প্রথম এশিয় দেশ, যার এই তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে। ২.২ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।
- এরআগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে, এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থপ্রাপ্তির খবর দিয়েছিলেন। এসময় তিনি আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশন প্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুনঃ ‘বড় প্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন। অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে, আইএমএফ হয়তোবা আমাদের এ ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে।’
করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন ঘটনার জেরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বড় ধরনের চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ডলারের বিপরীতে টাকার মান হারানো, মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন, আমদানিতে লাগাম টানা, জ্বালানি সংকটের মুখে রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানাবিধ কারণে দেশের অর্থনীতি এখন কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে।
What's Your Reaction?