পোড়া বঙ্গবাজারে চৌকি পেতে বেচাকেনা শুরু
“ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য তহবিল গঠন চলছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই তহবিলে টাকা দেবেন”, বঙ্গবাজারে চৌকি পেতে ব্যবসার উদ্বোধন করে বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঈদের আগে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে অস্থায়ী চৌকি পেতে রাজধানীর বঙ্গবাজারে বেচাকেনা শুরু করেছেন আগুনে সব হারানো ব্যবসায়ীরা।
আজ বুধবার সকাল থেকেই এ কেনাবেচার কাজ শুরু হয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। উদ্বোধন শেষে তাপস জানান, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ কোটি টাকার সহায়তা দেবে ডিএসসিসি।
এর আগে সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ৯ দিন আগে পুড়ে যাওয়া পুরো মার্কেটের আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ফেলা হয়েছে বালু। বসানো হয়েছে ইট। মার্কেটের দক্ষিণ অংশে তখনো ইট বসানোর কাজ করছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। রাজস্ব ও সম্পত্তি বিভাগের লোকজন খালি জায়গাগুলোতে চৌকি বসানোর জন্য মাপজোকের কাজ করছেন।
বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জানান, এখন ৬৮৮ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চৌকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। প্রতিটি চৌকি প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, বঙ্গবাজারের ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালু ফেলা হয়েছে এবং বিছানো হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার ইট। পুরো এলাকায় প্রায় ১৫০ গাড়ি বালু ফেলা হবে এবং বিছানো হবে আড়াই লাখ ইট। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালু ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এছাড়াও সোমবার সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনো বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
What's Your Reaction?