গ্রামে বসে ঢাকার ইফতার বুকিং নিয়ে অভিনব প্রতারণা
নামিদামি রেস্টুরেন্টের নামে ফেসবুক পেজ খুলে ইফতার-সেহরিসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের বুকিং দেয়ার নামে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করে একটি চক্র। এ চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যুবকদের একটি অংশ অভিনব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
রাজধানীর মিরপুরের একটি রেস্টুরেন্টে বুফে ইফতারি করতে হাজির কয়েকজন। ম্যানেজার জানান, বুকিং ছাড়া তার রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই। ইফতার করতে আসা ব্যক্তিরা জানান, তারা বুকিং দিয়েই এসেছেন। ইফতারের আগে এ আবার কেমন বিপত্তি!
ম্যানেজার একটু খেয়াল করে দেখেন, একই ঘটনা তার রেস্টুরেন্টে ঘটেছে বেশ কয়েকবার। উপায়ন্তর না দেখে তিনিশরণাপন্ন হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
ম্যানেজার জানান, প্রতারক চক্র অনলাইনে রেস্টুরেন্ট বুকিং দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত। কিন্তু মূল রেস্টুরেন্ট এসবের কিছুই জানে না, টাকাও পায় না। ফলে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। রোজার শুরু থেকে এটা অনেক বেশি পরিমাণে শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনা গিয়ে দাঁড়ায় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আল-আমিনকে। সে জানায়, ফেসবুকে নামিদামি রেস্টুরেন্টের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে প্রতারণা করে আসছে তাদের উপজেলার একটি চক্র। আল-আমিনের মতো কয়েকটি গ্রামের অনেক যুবক এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। হাতিয়ে নিচ্ছে বুকিং বাবদ অগ্রিম টাকা।
পুলিশ বলছে, ওই এলাকার অধিকাংশ যুবক ই-কমার্সের বিভিন্ন সাইট ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে প্রত্যন্ত এলাকায় বসেই যে যার মতো নানা রকম প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ জানান, ওই এলাকায় ই-কমার্সের প্রতারণার বিষয়টি ক্লাস্টারের মতো হয়ে গেছে। একজন থেকে আরেকজন শিখে এ কাজে নেমে পড়েছে। এটা সহজে টাকা আয়ের একটি পথ হয়ে গেছে।
রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে অনলাইনে কেনাকাটার আগে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
What's Your Reaction?