খাঁটি সোনা চেনার ঘরোয়া উপায়
যখন বিয়ে বা উৎসবের জন্য বিশেষ কিছু বিনিয়োগ বা উপহার দেওয়ার কথা আসে, তখন যে জিনিসটা প্রথম মাথায় আসে সেটি হচ্ছে স্বর্ণ। মূল্যবান এ ধাতুটির দাম ওঠানামা করে, তাই নকল হওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকেই গ্রাহকদের নকল সোনার গয়না বিক্রি করে ঠকায়।
৪১.৪ শতাংশ বা ১০ ক্যারেটের কম সোনা বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক মানের দ্বারা নকল বলে বিবেচিত হয়। প্রথম দর্শনে, আসল এবং নকল সোনার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। ফলস্বরূপ, প্রতারক বিক্রেতারা প্রতারণা করার সহজ সময় পায়। এমন অবস্থায় সবারই আসল সোনা চেনার উপায় জেনে রাখা উচিত-
খাঁটি সোনা চেনার সহজ ঘরোয়া উপায়
২৪ ক্যারেটের
আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। কারণ সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরি করা সম্ভব হয় না। গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে।
সোনায় লোহা মেশানো
সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। সোনায় লোহা মেশানো আছে কি না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।
রাসায়নিক ও এসিড
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং এসিড আছে, যেগুলো ব্যবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা এসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনো রকম বিক্রিয়া হয় না।
সাদা চিনেমাটির প্লেট
সাদা চিনেমাটির একটা প্লেটের সাহায্যে আপনি সোনা যাচাই করতে পারেন। সোনার গয়না চিনেমাটির প্লেটে ঘষে দেখুন। যদি থালার ওপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল। আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।
দুই গ্লাস পানি
একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দুই গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
কামড়
হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয় তা হলে সোনার ওপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে।
ভিনেগার
সোনার ওপরে কয়েক ফোটা ভিনেগার দিন। ভেজাল থাকলে রং পরিবর্তন হবে। তবে খাঁটি সোনা হলে সেটা হবে না।
ঘাম
ঘামের সংস্পর্শে এলেও আসল সোনায় কখনো ঘামের গন্ধ ধরে না। যদি ঘামের গন্ধ ধরে তা হলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি সোনা নয়।
What's Your Reaction?