অনলাইনে ওষুধ বিক্রিতে আসছে নিষেধাজ্ঞা
ডাক্তারের অভাবে গোটা বাংলা তো ভুগছেই। এমনকী ওষুধ বিক্রিতে নজরদারির জন্যও যথেষ্ট লোক নেই। অনলাইনে ওষুধ বিক্রিতে নজরদারিও মার খাচ্ছে লোকবলের অভাবে।
ডাক্তারের অভাবে গোটা বাংলা তো ভুগছেই। এমনকী ওষুধ বিক্রিতে নজরদারির জন্যও যথেষ্ট লোক নেই। অনলাইনে ওষুধ বিক্রিতে নজরদারিও মার খাচ্ছে লোকবলের অভাবে।
খাবার বা কাপড়ের মতো রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়েই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ওষুধ। শুধু দেশি নয়, আছে বিদেশি ওষুধও। দেয়া হচ্ছে নানা ছাড়ও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, বন্ধ্যাত্ব এমনকি হার্ট ও স্ট্রোকের ওষুধও।
এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিপণন সংস্থা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রি করছে। সুকান্ত সর্দার বা পঙ্কজ শর্মার মতো এমনই কিছু সংস্থার কর্তা জানান, কোনও ক্রেতা অনলাইনে তাঁদের ওয়েবসাইটে ক্যানসার, অনিদ্রা, মানসিক রোগ, যক্ষ্মা-সহ বেশ কিছু অসুখের ওষুধের বরাত দিলেই তা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই ওষুধ যাচ্ছে মূলত বিভিন্ন এলাকার খুচরো ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকে।
_____________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ মেট্রোর লাইনে ঘুড়ি আটকা, সিঙ্গেল লাইনে চলছে ট্রেন
_____________________________________________________________
নানা নামে ফেইসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পেইজ খুলেই চলছে বিক্রি। এ সব ওষুধ কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হয় তা জানার সুযোগ নেই। ফলে নকল বা ভেজাল ওষুধ ক্রেতার হাতে যাওয়ার শঙ্কা থাকছেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিত করতেই অনলাইনে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে চান তারা। দেওয়া যাবে না বিজ্ঞাপনও।
ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক আইনে অনলাইনে ওষুধ বিক্রির নিয়মকানুন সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। কারণ ওই আইন যখন চালু হয়েছিল, তখন অনলাইন ফার্মাসিই ছিল না। সপ্তাহ দেড়েক আগে দিল্লিতে সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের নিয়ে ৪৮তম ড্রাগস কনসালটেটিভ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে অনলাইন ফার্মাসিগুলির জন্য নির্দেশিকা তৈরি করার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। সেই অনুযায়ী মুম্বই, দিল্লি, কর্নাটক, ওড়িশার ড্রাগ কন্ট্রোলারদের নিয়ে গড়া হয় একটি সাব-কমিটি। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন ফার্মাসির জন্য নির্দেশিকা তৈরি করবে তারা।
ওষুধ ও কসমেটিক আইন ২০২৩ অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভায়। আগামী সংসদ অধিবেশনেই পাস হওয়ার কথা এই আইন।
What's Your Reaction?