ছেলের জঙ্গি কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন জামায়াত আমির: সিটিটিসি

ছেলের জঙ্গি কার্যক্রমে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এজন্য তার ছেলের বিরুদ্ধে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।

Dec 13, 2022 - 18:11
 0
ছেলের জঙ্গি কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন জামায়াত আমির: সিটিটিসি
CTTC -( সিটিটিসি )

পুলিশ বলছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সাথে নিজের ছেলের জড়ানোর বিষয়টি জানতেন শফিকুর রহমান। ছেলেসহ ভিন্ন জঙ্গিদের হিজরতে উনি সহযোগিতা করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরবেলা রাজধানীর ডিএমপি গণমাধ্যম সেন্টারে আয়োজিত খবর সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের শ্রেষ্ঠ আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ছেলে নতুন জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়েছেন এটি জেনেও সমর্থন দ্বারা গেছেন জামায়াত আমির। এক অবস্থায় তার ছেলে ওই জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ সমন্বয়ক হন। ওই সংগঠনে জড়ানো অনেকেই আগে শিবিরের সাথী ও সহযোগী ছিলেন। তাদের হিজরতের খরচও দিয়েছেন জামায়াত আমির।এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির একটি দল।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর জামায়াত আমিরের পোলা ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও আগে সিলেট হতে হিজরত করা তিন জঙ্গি সদস্যকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই শিবিরের সাথী ছিলেন। সহযোগী আরিফও শিবিরের সাথী ছিলেন।

সিটিটিসি শ্রেষ্ঠ বলেন, এর আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন জামায়াত আমিরের সন্তান ডা. রাফাত। পরে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র দাওয়াত পেয়ে দলবলসহ তাতে যুক্ত হন তিনি।

আসাদুজ্জামান দাবি করেন, ডা. রাফাত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার বাবার সম্মতিক্রমেই ২০২১ সালের জুন মাসে বান্দরবান হতে ফিরে আসেন তিনি। ১১ ছেলেসহ রাফাত যে হিজরত করেছেন এর সবই জানতেন জামায়াত আমির। ক্ষেত্র-বিশেষে তিনি সহযোগিতাও করেছেন। হিজরতের সমস্ত ব্যয়ভারও তিনি বহন করেছিলেন।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ডাক্তার শাকের নামে আরেকজনকে আমরা কয়েকদিন প্রথমে গ্রেপ্তার করেছি। উনি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র দাওয়াতি শাখার শ্রেষ্ঠ ছিলেন। এ সংগঠন হতে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক সহযোগিতাই তারা পেতেন। যারা ডা. রাফাতের সঙ্গে হিজরত করেছেন তারাও জামায়াতের শিক্ষানবিশ সংগঠন শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। নব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা এবং সমর্থন ছিল কি না তা জানতে এবং এই মামলায় জামায়াত আমিরের সরাসরি ভাবে সম্পৃক্ততার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিটিটিসি সর্বশ্রেষ্ঠ বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে ছেলেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হেল্প করেছেন জামায়াত আমির। আরও কয়েকজনকে উনি হেল্প করেছেন। আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য তাকে জ্ঞিাসাবাদ করব।

সিলেট এরিয়া হতে হিজরত করা অধিকাংশেরই পূর্বে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা ছিল দাবি করে আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াত ও শিবিরের সাথে নতুন জঙ্গি সংগঠনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকতে পারে। যাদের গ্রেপ্তার করেছি তারা জামায়াতে ইসলামী হতে সহযোগিতা পাচ্ছে বলা হয় আমরা তথ্য পেয়েছি।

জামায়াত আমির ব্যতীত নব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন কি না- এরূপ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত আমিরের ছেলেই প্রথম হিজরতকারী। তার নেতৃত্বেই ১টি বড় ভাগ হিজরত করেছে। জামায়াতের আঞ্চলিক পর্যায়ের কয়েকটি নেতার সমর্থন-সহযোগিতা ছিল বলা হয় জেনেছি, কতিপয় তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow