হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারও চেক করছে " পুলিশ "
বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রুপান্তর হয় নয়াপল্টন এলাকা।
বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রুপান্তর হয় নয়াপল্টন এলাকা। তারপর হতে গতকাল প্রায় সারাদিনই নয়াপল্টন এলাকার প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। বিকেলের দিকে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও আজ (শুক্রবার) সকালে সেখানে আবারও ব্যারিকেড বসেছে; বন্ধ হয়েছে যান চলাচল।
নয়াপল্টন অঞ্চলে ঢুকতে গেলে পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই এলাকায় বসবাসরতদের ঢুকতে দেওয়া হলেও তাদের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপও চেক করছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন নির্দেশনায় এ ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এ এলাকায় যদি কারও বাসা থাকে, তাদের আমরা ঢুকতে দিচ্ছি, এর বাইরে কেউই ঢুকতে পারবে না।
সকাল ১০টায় বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। ব্যারিকেড দেওয়া এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
মো. সজিব মিয়া বেসরকারি ১টি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। পল্টন এলাকায় অফিস হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে তার কোম্পানির এমডির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলিয়ে ছাড় পান তিনি। তারপরও সজিব মিয়ার মোবাইলের মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে ওই এলাকায় তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, ওপর হতে নির্দেশনা বিদ্যমান এই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তারপরও আমরা ওই এলাকায় বসবাসরত বা যৌক্তিক কারণে কেউ এলে তাকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করছে। ব্যারিকেড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকেই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আজকে ছাড়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
What's Your Reaction?