নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেক এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। সেদিন তারা (নয়াপল্টনে বিএনপি) বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এটা তাদের টেস্ট ছিল। নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন। মেহনতী মানুষের ওপর আঘাত করলে তাদের ক্ষমা নেই।

Dec 8, 2022 - 13:52
Dec 13, 2022 - 16:50
 0
নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং কর্মী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুই সিটির মেয়রদের সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভায় তিনি এই কথা বলেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সেরা কার্যালয়ে যৌথ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে ভার্চুয়ালি অধিবেশনে যুক্ত হন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার প্রহার করলে আমরা সহ্য করব না। আমরা ২০২২ পর্যন্ত সহ্য করেছি। আজকাল আর করব না। চাল-ডাল দ্বারা খিচুড়ি খেয়ে সরকার হটানো যাবে না। যে হাত দিয়ে মারতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে অগ্নি দিতে আসবে, সে হাত দিয়ে তাদের পোড়াতে হবে। ওদের কিসের ক্ষমা। বসে বসে আর মার খাওয়া যাবে না। গণতন্ত্র তাদের মুখে মানায় না।

তিনি বলেন, তৃণমূলের লোক ক্ষমতাবান হউক এটি কেউ চায় না, শুধু আওয়ামী লীগ তা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে না। জনগণের ভোট জনগণের হাতে তুলে দেয়। বিএনপির স্বভাব তো যায় না। তারা ২০০১ সালে গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে। সে সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এইখানে নাছিম আছেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর উপর যে জুলুম করা হয়, বিএনপি তো মনে করেছিল তারা মারা গেছে। বিএনপি আমাদের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর উপর জুলুম করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। ২০০১ বছরের নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি অধিকার করে জলাশয় কেটে কলা তরু লাগানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রতিশোধ নিতে পারতাম, তবুও আমরা তা করিনি। নির্বাচনী ইশতেহার বিএনপি বাস্তবায়ন করেনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ কারো পকেটের সংস্থা না। বিএনপির উদ্ভব জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে। আওয়ামী লীগ আসার পর এদেশের উন্নতি হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে লবিষ্ট নিয়োগ করেছিল। তারা টাকা দ্বারা আমি, আমার বোন কোথায় টাকা রেখেছি খোঁজ করেছে। তারা লুটে খেতে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগ দেওয়ার জন্য এসেছে। 

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অফিস এডিটর  বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, বন এবং পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষি এবং সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ ও প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা এবং মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া সমিতিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী প্রমুখ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow