১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মোতায়েন থাকবে ৩০ হাজার পুলিশ

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবং নগরবাসীর জান-মাল রক্ষায় ঢাকা শহরে মোতায়েন থাকবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশের ৩০ হাজার সদস্য।

Dec 7, 2022 - 02:54
Dec 13, 2022 - 17:00
 0
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মোতায়েন থাকবে ৩০ হাজার পুলিশ
ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবং নগরবাসীর জান-মাল রক্ষায় ঢাকা শহরে মোতায়েন থাকবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশের ৩০ হাজার সদস্য। এছাড়াও প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে হতে এইরকম ১০ থেকে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। ইউনিফরমে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন তারা।

এছাড়া এরইমধ্যে দুই সপ্তাহের জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে ডিএমপিতে কর্মরত বেশিরভাগ সদস্যদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো নৈরাজ্য এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেক্সিমাম নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিএমপি। বাড়ানো হয়ে গিয়েছে  তৎপরতা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ছক সাজাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেছেন। সেখানে কেউ কেউ সংঘাতের আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেছেন।

পাশাপাশি এসময় কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। নাশকতার পুরোনো মামলার আসামিদের উপর রাখা হলো কঠোর নজরদারি। তালিকা অনুযায়ী তাদের গতিবিধি নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের ধরতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। এরই ভিতরে সারাদেশে গ্রেফতারের সংখ্যাও বাড়ছে। আবরণ এবং ঢাকার বাইরে প্রতিদিন পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে। এ পটভূমিতে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন- প্রকৃতপক্ষে কী ঘটবে ১০ ডিসেম্বর?অন্যদিকে, বিএনপি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের পারমিশন পেলেও দলটি বর্তমান পর্যন্ত নয়াপল্টনে সভা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কিন্তু গতকাল সোমবার এক বার্তা সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির মেম্বার মির্জা আব্বাস বলেছেন, প্রশাসন চাইলে পছন্দের জায়গার বিকল্প নাম দেবে বিএনপি।

ডিএমপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি চাইলে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে অধিবেশন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপির দিক হতে কোনো আপত্তি থাকবে না। পুলিশের পক্ষ হতে আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দেওয়ার পরেও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তারা নোটিশ করে বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে আরামবাগে বিকল্প ভেন্যুর জন্য মতিঝিল বিভাগের ডিসির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আসেনি।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনো ভেন্যু নিশ্চিত না হওয়ায় সঠিকভাবে পুলিশ মোতায়েনের সংখ্যা  যাচ্ছে না। তবে ডিএমপির দিক থেকে সমাবেশের আগাম কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুলিশ সদস্য বাছাই করা হয়েছে। ডিএমপিতে ৩২ হাজার সদস্য কর্মরত। এর বাইরেও চাই হলে আরও ১০-১৫ হাজার মেম্বার আনা হবে। উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ডিএমপির এক অফিসার জানান, আগামী চার-পাঁচদিন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর নানারকম আবাসিক হোটেলে কারা উঠছেন, কারা যাচ্ছেন, কোন সড়কে কী ঘটছে- এসব নজরদারিতে রাখতে  হয়েছে। রাজধানীর প্রত্যেকটি সড়কে বিশেষ করে রাতের বেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করতে  হয়েছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে গ্রেফতার করতেও বলা হয়েছে মৌখিক নির্দেশনায়।

পাশাপাশি নিজেদের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ জানান, যে কোনো সভা-সমাবেশ ঘিরে পুলিশের  ধরনের সিকিউরিটি প্রস্তুতি থাকে। ১০ ডিসেম্বরের সমিতি ঘিরেও পুলিশ সজাগ দৃষ্টি রাখছে। ডিএমপিতে ৩২ হাজার ফোর্স আছে। সমাবেশের দিন চাহিদা মোতাবেক আরও ১০-১৫ হাজার সদস্য ঢাকার বাইরে হতে আনা থেকে পারে। জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক  বলেন, মোট  হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে কাজ করবে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। নিরাপত্তার জন্য যত পুলিশ প্রয়োজন হবে আমরা তত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করবো। ডিএমপিতে কর্মরত ৩২ হাজার পুলিশ সদস্য। এর বাইরেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য আনা হতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow