বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আতঙ্কে মানুষ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক এবং গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা। তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে।

Dec 5, 2022 - 12:02
Dec 13, 2022 - 16:55
 0
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আতঙ্কে মানুষ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বিএনপির সভা নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনার রাষ্ট্রশাসক বিভাগ সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা; তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।

গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের ভূমিকা অধিক জরুরি বলা হয় উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি বিএনপির আমলে নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। কিন্তু আমরা জানি সেই নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন। এগুলো এদেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনো সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিপক্ষে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মরণ নিয়ে রহস্য, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটি আমরা আজও জানি না। কোনোদিন জানা যাবে সেটাও এ মুহূর্তে  যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানুষপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূলভৌত। সোহরাওয়ার্দী বলেছেন, ‘শাসনতন্ত্রের পাশে জনগণের রায়ই সমাপ্ত কথা।’ আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়ে গিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল খালাস ঘটিয়েছেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য এবং গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow