বড় জয় পেয়েও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় জার্মানির

Dec 2, 2022 - 11:53
 0
বড় জয় পেয়েও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় জার্মানির

জয়টা খুবই প্রয়োজন ছিল জার্মানদের। কোস্টারিকার বিপক্ষে একবার এগিয়ে যাওয়ার পর ২বার গোল হজম করেছিলো জার্মানরা। তবুও এরপর এইরকম তিনবার কোস্টারিকার জালে তারা বল জড়িয়েছে। কিন্তু তাতে কোনোই লাভ হচ্ছে না।

অন্য ম্যাচে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জাপান। যার ফলে ৪-২ গোলে জিতেও জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো। সে সঙ্গে ‘ই’ গ্রুপ হতে বিদায় ঘটলো কোস্টারিকারও।

এ নিয়ে টানা দুই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে তারা ভাগ নিয়েছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। কিন্তু গ্রুপ পর্বের বাধা পার থেকে পারেনি তারা দক্ষিণ কোরিয়ার নিকট হেরে যাওয়ার কারণে। এবার গ্রুপ পর্বের ১ম ম্যাচেই তারা ২-১ গোলে হেরেছিলো জাপানের কাছে।

দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু সমাপ্ত ম্যাচে এসে কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারালেও পয়েন্ট হয় তাদের ৪। জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া স্পেনের পয়েন্টও দাঁড়ায় ৪। কিন্তু ১ম ম্যাচে কোস্টারিকার জালে ৭ গোল দেয়ার কারণে এগিয়ে থাকে স্প্যানিশরা এবং এই গোল ব্যবধানেই তারা দ্বিতীয় হয়েই উঠে যায় সমাপ্ত ষোলোয়। বিদায় ঘটলো জার্মানির।

জয় অন্য কোনো ফল হলে বিদায় নিশ্চিত। এইরকম সমীকরণ সামনে রেখে আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচের চালু থেকেই কোস্টারিকার গোলমুখে একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জার্মানরা। জামাল মুসিয়ালা, গুনাব্রি ও জশুয়া কিমিচরা একের পর এক আক্রমণ করেও গোল আদায় করতে পারেনি। কেবল ১০ মিনিটের ওই একটি গোল ছাড়া।

যদিও জার্মানির সামনে বিশাল দেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। অসংখ্য গোল হতে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। শিওর বেশ কিছু গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন। না হয়, গোল ব্যবধানে স্পেনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতো তারা।

ম্যাচের ১০ম মিনিটে এক গোল কর্তৃক এগিয়ে গিয়েছিলো জার্মান। এই ১ গোল নিয়েই গিয়েছিলো বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধ চালু হওয়ার একটু পরই গোল হজম করে বসে জার্মানরা।

প্রথমার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি জার্মানি। একের পর এক আক্রমণ করেও না। বরং, ২৯ মিনিটে একেবার শিওর গোল থেকে বেঁচে যায় জার্মানি। ৪৪ মিনিটে তো নিশ্চিত গোল ছিল। রুডিগার বল দিতে চেয়েছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ারকে। অথচ বল পেয়ে যান কেইসার ফুলার। গোলরক্ষক ন্যুয়ারই কেবল সামনে। তবুও ফুলার শট নিলেও ন্যুয়ার দারুণ দক্ষতায় বলটি হাত দ্বারা ঠেকান।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর কোস্টারিকা যেন ম্যাচে ফিরতে থাকে। ৫৮তম মিনিটে দারুণ গোলটি করেন ইয়েলৎসিন তাজেদা। ওয়াটসনের হেড ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। তবুও বল ধরে রাখার জন্য পারেননি। ফিরতি বলে শট করে গোল করেন তাজেদা।

৬৭ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার ১টি শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসলে শিওর গোল বঞ্চিত হয় জার্মানি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে আবারও গোল। এই যাত্রায় গোল করেন কোস্টারিকার হুয়ান পাবলো ভার্গাস। বায়ুতে ভেসে আসা বলা হয় আলতো করে হেড করেন ভার্গাস। ম্যানুয়েল ন্যুয়ার টেরই পাননি। তার পায়ে লেগে বল চলে যায় জার্মানির জালে।

তিন মিনিট পর আবারও গোল। এই সময়ে গোল করে জার্মানি। গোলদাতা বদলি খেলোয়াড় কাই হাভার্টজ। থমাস মুলারের পরিবর্তে মাঠে নামা হাভার্টজই গোল করেন। ফুলক্রুগের পাস হতে বল পেয়ে গোলটি করেন তিনি।

৮৫তম মিনিটে আবারও গোল। এবারও গোল করেন কাই হাভার্টজ। গুনাব্রিরর দুর্দান্ত এক শট হতে বল চলে যান বক্সের বাম প্রান্তে। দৌড়ে এতে বাম পায়ের এক টোকায় বলটি কোস্টারিকার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

৮৯তম মিনিটে আবারও গোল জার্মানির। এই সময়ে গোল করেন নিকলাস ফুলক্রুগ। লেরয় সানের পাস হতে গোলটি করেন তিনি। তা সত্ত্বেও লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়ালে গোল বাতিল হয়ে যায়। অথচ গোলদাতা ফুলক্রুগ অফসাইড ছিলেন না বলা হয় দাবি করেন। যার ফলে, ভিএআর চেক করা হয়। ভিএআর দেখে গোল দেয়া হয়ে যায় জার্মানির পক্ষে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow