আবারও বেড়েছে চালের দাম
প্রতিবছর এই সময় বাজারে চালের দাম কম থাকে। এবার চিত্র উল্টো। তদারকি বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
নিত্যপণ্যের বাজারে কোনও সুখবর নেই, অন্য দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে মোটা চালসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা-টিসিবি’র তথ্যমতে, চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা এবং মোটা চালের কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪৮ হতে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, টিসিবির তথ্যের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা অধিক দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্যাকেট আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, আর খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বিগত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৭২ টাকার ময়দা এই সপ্তাহে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি দরের প্যাকেট ময়দা আজকাল বিক্রি হলো ৮৫ টাকা করে। বেড়েছে গুঁড়ো দুধের দামও।
৭৫০ টাকা কেজি দরের ডানো গুঁড়া দুধ বিক্রি হলো ৮২০ টাকা দরে। ৭৫০ টাকা কেজি দরের ডিপ্লোমা বিক্রি হলো ৮০০ টাকায়। একইভাবে অন্যান্য গুড়া দুধের দামও বেড়েছে। বিগত ১৭ নভেম্বর হতে সয়াবিন তেল এবং চিনির ভ্যালু এইরকম বেড়েছে। ইদানিং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১২ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হলো ১০৭ টাকায়। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামের তেল পাওয়া গেলেও চিনি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হলো অতিরিক্ত টাকা। সরবরাহ সংকটের কারণে বাজারভেদে চিনি বিক্রি হলো ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫-১০ টাকা কমে যায় ৪০-৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
What's Your Reaction?