যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক , চিনের প্রতি কঠোর হয়ার আদেশ
যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ৩য় চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার স্বীকার করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ৩য় চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার স্বীকার করেন তিনি। এর আগে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সম্রাটের সাথে সাক্ষাৎ করে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়বেন বরিস জনসন। ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের সদস্যদের ভিতরে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন লিজ ট্রাস। কিন্তু সুনাকের প্রত্যাশা, নির্বাচনের তৎকালীন প্রচার এবং বিতর্কের কারণে উনি লিজ ট্রাসের হতে এগিয়ে থাকবেন।
যুক্তরাজ্যের আরেক প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লিজ ট্রাস অভিযোগ করেন, ঋষি সুনাক চীন এবং রাশিয়ার প্রতি দুর্বল। লিজ ট্রাসের এইরকম মন্তব্যের পরই ঋষি সুনাক কঠোর ভাষায় বললেন, তিনি চীনের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেবেন।
তিনি বলেন, চীন আমাদের প্রযুক্তিগুলো দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তারা অনুপ্রবেশ করছে। আর রুশ তেল কেনার দ্বারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সহযোগিতা করছে। এছাড়া প্রতিবেশী তাইওয়ানকেও নানাভাবে আক্রমণ করছে চীনা সামরিক বাহিনী
ঋষি সুনাকের অভিযোগ, ‘জিনজিয়াং এবং হংকংসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের নাগরিকদের নির্যাতন, আটকসহ মতাদর্শিক মগজধোলাই করছে চীন। কোভিড-১৯ মহামারির সঠিক তথ্য চীন লুকোচ্ছে কি না, সেই ত্রাস তৈরি হয়েছিল। হুয়াওয়ে মুঠোফোন সেটের দ্বারা গুপ্তচরবৃত্তি করছে কি না সেই উদ্বেগও তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন ও চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে রাজনৈতিক ‘পুনঃশিক্ষা’ শিবির প্রতিষ্ঠার কারণে ক্ষোভেরও উৎপত্তি হয়েছিল
What's Your Reaction?