বিস্ময়কর স্থাপত্য মিশরের পিরামিড
বলা হয়ে থাকে মানবসভ্যতার ইতিহাসে মিশর এক রহস্যময় জায়গা। যেখানে রচিত রয়েছে অনেক রহস্যময় ঘটনার
বলা হয়ে থাকে মানবসভ্যতার ইতিহাসে মিশর এক রহস্যময় জায়গা। যেখানে রচিত রয়েছে অনেক রহস্যময় ঘটনার। আজ হতে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে মিশরীয় সভ্যতার শুরু হয়। সেসময় তারা কিছু মনমুগ্ধকর স্থাপনা সৃষ্টি করেছিলো। যা পরের সময়ে সমস্ত বিজ্ঞানীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। আকাশের তারার সাথে যুগসূত্র রেখে পিরামিড তৈরি, পিরামিডের ভেতরে প্রাকিতিক কুলার জা সব সময় ২০ ডিগ্রি সে, সি: তাপমাত্রায় থাকে এই যাবতীয় ঘটনাবলী আদুনিক বিজ্ঞানকে হার মানিয়েছে ।
কথিত আছে, এই পিরামিডের অভ্যন্তরে কোথাও লুকিয়ে আছে প্রায় ৪৫৫ ফুটের এক সুবিশাল কক্ষ। এ কক্ষটি কি জন্য সৃষ্টি হয়েছিল বা এতে কী রয়েছে বা আদৌ এরূপ কোনো গুপ্ত কক্ষ আছে কিনা তা নিশ্চিত করে আজও প্রমাণিত হয়নি। প্রাচীনকাল অর্থাৎ পিরামিড তৈরির প্রাক্কাল থেকেই চলে আসা গুঞ্জনের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানী ও পুরাতত্ত্ববিদেরা।
প্রাচীন মিশরীয়রা দেখতে কেমন ছিল ?
আবিষ্কৃত শিলালিপি, মমি ও সে আমলে নির্মিত মূর্তির মাধ্যমে মিশরীয়দের যে নকশা খুঁজে পাওয়া যায় তা থেকে এখনও অটল সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারেননি গবেষকেরা।মিশরীয়দের আকার আকৃতি নিয়ে যেমন মতবিরোধ রয়েছে, তেমনই গায়ের রং নিয়েও রয়েছে নানা মত। অনেকে মিশরীয়দের শরীরের বর্ণ বলা হয়ে থাকে দাবি করে। তবে এ বিষয়ে একমত নন অনেকেই। আফ্রিকার জলবায়ুর এ এলাকায় প্রবহমান হওয়ায় মিশরীয়দের গায়ের রং উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনাই বাড়িয়ে দেয়।
পিরামিডের ভিতরের উষ্ণতা ?
সাম্প্রতিক কতিপয় গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে গিজার গ্রেট পিরামিডের ভেতর উষ্ণ ও তুলনামুলকভাবে শীতল দুইটি জায়গা বিদ্যমান যেখানকার তাপমাত্রা বলেতে গেলে সবসময় প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকে । বলা যায়, হাজার বছর ধরেই একই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডটি। মূলত পিরামিডের ভেতর লুকোনো কোনো স্থাপনা আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা আধুনিক ইনফ্রারেড ও থ্রিডি টেকনোলজি ব্যবহার করছিলেন।
কি পাথর দ্বারা পিরামিড তৈরি ?
তবে এই পিরামিড সৃষ্টি করার জন্য জ্যেষ্ঠ বড় পাথরগুলিকে অন্য কোন জায়গা হতে কিভাবে আনা হয়েছিলো তা সম্মন্ধে কিন্তু রহস্য থেকেই যায় । ১টি থিওরি মতে প্রাচীন মিশরবাসিরা এ বড়ো বড়ো পাথরের ব্লককে টানার জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করেছিল । যেখানে কাঠের উপর পাথর রেখে ওই কাঠের সাথে রসি বেঁধে টানাত ।কিন্তু এতেই রহস্যের সমাপ্ত হয়ে যায় না। বরং এ থিওরি থেকে প্রচুর প্রশ্ন উঠে আসে । যেমন শুধুমাত্র রশি আর শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে ২ মিলিয়ন স্টোন ব্লক সেটি আবার দুই টনের থেকে বেশি ওজনের এইসব পাথর গুলিকে পিরামিডের উপর পর্যন্ত কিভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ।
আলর আবিস্কার ?
বাল্বের বিষয়টা আরোও শক্ত হয় যখন পিরামিডের পাশেই এক মন্দিরে বাল্বের মতো কিছুর প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। ‘ডেনডেরা লাইট কমপ্লেক্স’ নামক মিশরে একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটি বহুকাল জাবত অজানা ছিল অর্ধেক মাটির নিচে। ১৮৮৫ সালে যখন মন্দিরটি সম্পূর্ণভাবে বের করা হচ্ছে তখন যা সামনে এল তা সবাইকে চমকে দিয়েছে। সেই মন্দিরে ১টি ফটো পাওয়া গেল যাতে একটি ডিজিটাল বাল্ব ছিল। যাকে বলে ডেনডেরা লাইট। শুধু মনে রাখবেন এ ছবিটি ৪ হাজার বছর আগে প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই সময়ে বিদ্যুতের বাল্ব জ্বালানোর কথা লোক কোথা থেকে জানত? কিছু বিজ্ঞানী তত্ত্ব দেন যে সেই সময়ে মানুষের তড়িৎ ছিল ও বৈদ্যুতিক আলোও ছিল।
এই ছবিটি কে বলা হয় দ্য গ্রেট স্পিন। এটা এমন এক স্থাপনা যেটার মুখমন্ডল মানুষের মতোই। কিন্তু তার শরীর মানুষের মত না। হাজারো গবেষণা করেও এটি জানা হয়নি স্থাপনাটি কেন বানানো হয়েছিল। স্থাপনাটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপনার মধ্যে একটি। এটার আকৃতি ৭৩.৫ মিটার লম্বা। শুধু মুখমণ্ডল টি ২০ মিটার লম্বা। কিন্তু এত বড় স্থাপনাটি কয়েকটি পাথরের টুকরো দিয়ে বানানো হয়নি। এটিও উপর থেকে যেমন রহস্যময় তেমনি ভিতরটাও পুরো রহস্যময়।
What's Your Reaction?