৪৮ বছরে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ
পাকিস্তানে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। গত ৪৮ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। গত ৪৮ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৯৭৫ সালের মে মাসের পরে এটিই দেশটিতে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।
পাকিস্তান
- পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিজেদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানে চলতি মাসে জাতীয় ভোক্তা মূল্য সূচক গত মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। এই মুহূর্তে মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে দেশটির অর্থনীতি। সংকট থেকে উত্তরণে দেশটি বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
____________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
____________________________________________________________________
পাকিস্তানের বিনিয়োগকারী সংস্থা আরিফ হাবিব লিমিটেডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে এর আগে মূল্যস্ফীতি এত বেশি ছিল ১৯৭৫ সালে। সে বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি টপলাইন সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সোহাইল বলেছেন, রুপির দরপতন, ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া এবং কর বৃদ্ধির পরই বোঝা গিয়েছিল মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
পাকিস্তান
- পাকিস্তানে ইতোমধ্যে আকাশ ছুঁয়েছে পেঁয়াজ, মুরগি, চালের আটা, আটা, কলাই, মুগ ডাল, ছোলা ডাল, বেসন, সরিষা তেল, মাসের ডাল, তাজা ফল, রান্নার তেল, খাঁটি দুধ, ঘি, টমেটো, মাছ, মশুর ডাল, মাংস, তাজা সবজি, আলু এবং চিনির দাম।
- এ মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে।
বর্তমানে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদি আইএমএফ এ ঋণ দিতে সম্মত হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।ইতোমধ্যে মঙ্গলবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পাকিস্তান যে ঋণ চেয়েছে, কঠিন শর্ত দেওয়ার কারণে সে বিষয়ে আলোচনা স্থবির রয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল আবার আলোচনা শুরু করতেই দেশটিতে গেছে।
What's Your Reaction?