ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৭ হাজার ৬৭৪ জন ও সিরিয়ার তিন হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটারশকের শঙ্কাও রয়েছে। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখন ‘আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।’
এদিকে তুরস্কের সাধারণ মানুষ এখনো উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, কিছু কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা এসেছেন। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েও যারা জীবিত ছিলেন তারা তীব্র ঠাণ্ডা ও পানির অভাবে মারা গেছেন।
ভূমিকম্পে থেকে বেঁচে যাওয়া হাজার হাজার জীবনের জন্য ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া আবহাওয়া হুমকি হয়ে উঠছে। এসব মানুষ প্রবল শীতের মধ্যেই আশ্রয়, পানি ও খাবারের খোঁজে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ঠাণ্ডা ও তুষারপাতে ‘পরিস্থিতি নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় আশ্রয়হীন এসব মানুষ ‘দ্বিতীয় আরেকটি’ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।
What's Your Reaction?