ন্যূনতম ২৫ শতাংশ পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ থেকে মুক্ত : বাংলাদেশ ব্যাংক
থেকে মুক্তির বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে গ্রাহক দেনা নিয়মিত করতে পারবেন
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআইয়ের গ্রাহকদের খেলাপি থেকে মুক্তির থেকে মুক্তির বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে গ্রাহক দেনা নিয়মিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নগদ প্রবাহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়া এবং দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাজার বিভাগ হতে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতি : ড.মোশাররফ
এর প্রথমে কোভিডের কারণে ২০২১ সালে ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন প্রজ্ঞাপনে হয়েছে, সম্প্রতি কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পুনরায় বেড়েছে ও দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কতিপয় জেলা বানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেনা ও শ্রেণীকরণ এবং আরোপিত সুদ বা মুনাফা ইনকাম খাতে স্থানান্তর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে ঋণ, বা বিনিয়োগ হিসাবের আদায়যোগ্য ধনের নূ্যনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায় হলে ঐ দেনা অশ্রেণীকৃত বা খেলাপি মুক্ত দেখানো যাবে। তবে গ্রাহকের নগদ ঝরনা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনান্তে কেবল যথাৰ্থ ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়া যাবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত বন্যাকবলিত অঞ্চলসমূহে সিএমএসএমই এবং কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণের ক্ষেত্রে ২০২২ হিসাববর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিক সমাপনান্তে আদায়যোগ্য ধনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের ভিতরে হয়ে থাকলে ঐ ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। কিন্তু ইউজাররা প্রকৃতই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কি না তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিশ্চিত হবে।
এ নির্দেশনার আওতায় সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ হিসাব চলমান বছরের ১ এপ্রিল হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টাইমে দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি এবং চার্জ কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।
প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের ভিতরে কোনো ঋণ, লিজ এবং বিনিয়োগ গ্রহীতা এই পলিসি অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ হিসাবের যথানিয়মে শ্রেণীকরণ করে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে। ঋণ হিসাবের আরোপিত সুদ বা মুনাফার প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে।
What's Your Reaction?