থানায় গিয়ে বাবা দেখলেন ‘গরুচোর’ তার ছেলে মাসুম

চাহিদামতো টাকা না পেয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে বাবার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন ছেলে মাসুম মিয়া। অবশেষে সুযোগ বুঝে রাতে গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু ‘চুরি’ করে পিকআপে তুলে  নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামে।

Apr 11, 2023 - 16:59
 0
থানায় গিয়ে বাবা দেখলেন ‘গরুচোর’ তার ছেলে মাসুম
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছয় ছেলে। সকলেই কোনো না কোনো কর্ম করেন। চতুর্থ ছেলে মো. মাসুম মিয়ার (২৫) স্থানীয় বাজারে একটি মনোহারি দোকান ছাড়া ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা রয়েছে। 

নুরুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই মাস আগে তার স্ত্রী রাগ করে চলে যান। এর পর থেকে মাসুম মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এদিক-সেদিক চলাফেরা শুরু করেন। ব্যবসার আয়ের বিশাল একটা অংশ বিভিন্নভাবে খরচ করে ফেলেন। এ অবস্থায় বেশ কয়েক দিন ধরে অর্থ সংকটে পড়ে যান তিনি। একপর্যায়ে ভাইয়েদের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে জমি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তার চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় কয়েক দিন ধরে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। অনেক বুঝিয়ে তাকে তার ব্যবসায় বসালেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছাড়াও টাকা চাওয়া অব্যাহত ছিল।

সোমবার তারাবির নামাজের পর বাবাকে দোকানে ডেকে নেন মাসুম। নিজে খাওয়ার কথা বলে দোকান ছেড়ে বের হন। রাত ১২টার পরও দোকানে না যাওয়ায় বাবা নুরুল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। গিয়ে দেখেন বাড়ির সামনে গোয়ালঘরের দরজা খোলা। খোঁজ নিয়ে দেখেন সাতটি গরুর মধ্যে তিনটি গরু নেই। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। সেখান থেকে আশপাশ এলাকায় থাকা টহল পুলিশকে ঘটনাটি জানালে নান্দাইল থানার কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডে পিকআপের ভেতর গরুসহ ধরা খান মাসুম। গরুসহ তাকে নান্দাইল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে নুরুল ইসলামকে খবর দেওয়া হলে তিনি থানায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ‘চোর’ তার ছেলে। এ সময় তিনি গরু এবং ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

নান্দাইল থানার উপরিদর্শক আব্দুল কাদের জানান, বাবার কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকায় গরুসহ অভিযুক্ত ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow