ড্রিমলাইনারের সিটের হাতল ভাঙা, টেনে তোলা হয়েছে এলইডি স্ক্রিন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের কয়েকটি সিটের হাতল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরেকটি সিটের সামনে থাকা এলসিডি মনিটর উপড়ে তুলে ফেলা হয়েছে। কোনো যাত্রীই এ কাজ করেছেন বলে মনে করছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ঢাকা থেকে টরন্টো রুটে চলাচল করে। মাঝপথে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট তেল নেওয়ার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যাত্রাবিরতি করে। প্রায় ২১ ঘণ্টার এই যাত্রাপথে ফ্লাইটে থাকেন প্রায় ৩০০ জনের মতো।
সিটের হাতল ভাঙা ও মনিটর তুলে ফেলার ঘটনাটি চলতি সপ্তাহের। টরন্টোতে একটি রুটিন চেক-আপের সময় ধরা পড়ে এ কাণ্ড। চেকআপের সময় দেখা যায় বিমানের বেশ কয়েকটি সিটের বেহাল দশা। একটি সিটের দুই পাশের হাতল ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কণ্ঠশিল্পী নীরার শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস
এছাড়াও ৪১সি নম্বর সিটের এলসিডি মনিটর উপড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা, ব্যবহৃত কাঁটা চামচ, পানির খালি বোতল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সিটের হাতল ভেঙে ফেলা হয়েছে, কোনমতে টেপ দিয়ে জোরা লাগানো হয়েছে হাতলের ফাটা অংশ।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলি: শিশুসহ নিহত ৬
কে বা কারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করা হয়েছে কি না এসব এখনও জানতে পারেনি বিমান।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে বা যারা এই ড্যামেজ করেছে আমরা তাকে চিহ্নিত করার নির্দেশনা দিয়েছি। এটা কানাডার অংশে হোক বা বাংলাদেশের অংশে হোক, আমরা দুইদিক থেকেই ক্ষতিপূরণ দাবি করব। বিমানে বসে যা তা করা যাত্রীদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ড্রিমলাইনার আমার বিমান বহরের একটা সেরা এয়ারক্রাফট। আমরা যাত্রীকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে মোট ২১টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের যে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটিতে মোট ২৯৮ সিট রয়েছে। তার মধ্যে বিজনেস ক্লাসের সিট ৩০টি এবং ইকোনমি ক্লাসে ২৪৭ এবং প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে ২১টি সিট রয়েছে। এটি টানা প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার উড়তে পারে।
What's Your Reaction?