ক্ষতবিক্ষত হয়ে ‘রবীন্দ্রনাথ’ ফিরল টিএসসিতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবারও স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীনমত প্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের প্রতিবাদে ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবারও স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীনমত প্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের প্রতিবাদে ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী।
পাশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুক্রবার বিকালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ভাস্কর্যটিকে দুই টুকরো অবস্থায় উদ্ধারের পর শনিবার জোড়া দিয়ে তা স্থাপন করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
এবার ভাস্কর্যের দুই পাশে দুটি ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এক ব্যানারে লেখা, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সব ধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর’। আরেক ব্যানারে লেখা, ‘তোমার পূজোর ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ‘সেন্সরশিপ ও নিপীড়নের’ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বইমেলার টিএসসি সংলগ্ন প্রবেশমুখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন একদল শিক্ষার্থী। ছাত্র ইউনিয়নের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ ভাস্কর্য নির্মাণ করে।
ভাস্কর্যটিতে কবিগুরুকে উপস্থাপন করা হয় ভিন্ন রূপে; তার মুখে টেপ আটকানো, হাতে থাকা কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলিতে ঠুকে আছে পেরেক, সেটা রক্তাক্ত।
ভাস্কর্য স্থাপনের দুদিন পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেটি আর সেখানে দেখা যায়নি। পরে শিক্ষার্থীরা ওই স্থানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ!’ শিরোনামের এক ব্যানার টানিয়ে দেন।
What's Your Reaction?