যশোরে বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু , অসুস্থ ৩
যশোরে বিষাক্ত মদপান করে দু’জনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিন জন। যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
যশোরে বিষাক্ত মদপান করে দু’জনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিন জন। যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এই ঘটনা জানাজানি হয়। গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগীরা ওই বিষাক্ত মদপান করে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫) ও শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৯)।
অসুস্থরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম (৫৫), সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল (৩৬)।
যশোর
- ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি মেহগনি ও লিচু বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ইসলামকে বৃহস্পতিবার ভোরে মদ খাওয়ার বিষয়টি গোপন করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে ডিজেল সংকট মোকাবিলায় স্বস্তির বার্তা দিল চীন
এদিকে বাকী চারজন বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে সরে পড়েন। অপর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।
এ বিষয়ে যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুনঃ নিউইয়র্ক মেয়রের বেফাঁস মন্তব্যে ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের ক্ষোভ
এ প্রসঙ্গে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পাওয়ার পর বিষয়টি তারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছেন।
What's Your Reaction?