মেট্রোরেলে ৩য় দিনে বেড়েছে টিকেট বিক্রি, ১২ লাখ টাকা

মেট্রোরেল হতে ১ম দিন যেরকম ভাবে আয় হয়েছে দ্বিতীয় দিনে তার অর্ধেকও হয়নি। ১ম দিন হতে ২য় দিনে ইনকাম কমেছে। তবুও প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ট্রিপ সংখ্যা ছিল একই ৫০টি। কিন্তু রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর), এ দিনে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ অর্থের টিকেট বিক্রি হয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, শনিবার সিঙ্গেল জার্নি টিকেট (এসজেটি) বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৮৯টি। প্রতিটার দাম ৬০ টাকা ধরে  হয়ে গিয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকা। সেইম দিনে এমআরটি পাস বিক্রি হয়ে গিয়েছে ১ হাজার ৩৪৮টি, এই খাতে আয় হয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকার। ফলে সর্বমোট ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ অর্থের টিকিট বিক্রি হয়েছে।

অথচ প্রথম দিন সিঙ্গেল টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়ে ছিল ৩ হাজার ৯৯৬টা। প্রতিটা টিকিটের দর ৬০ টাকা। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য ৩০৪টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়। প্রতিটা এমআরটি পাসের দাম মোট ৫০০ টাকা। এর ভিতরে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা। বাকি ৩০০ টাকা ব্যালেন্স, যা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। সব মিলিয়ে ১ম দিনে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ অর্থের টিকেট বিক্রি হয়।

তবে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবারে (৩০ ডিসেম্বর) মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ ধনের টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু ১ম দিন এবং ২য় দিন ট্রিপ পরিমান ছিল ৫০টা। অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তরা স্টেশনে ২৫ বার করে মেট্রোরেল যাতায়াত করেছে, অর্থাৎ ট্রিপ পরিমান ৫০টি। প্রথম এবং ২য় দিনে ট্রিপ সংখ্যা সেইম হলেও ভাড়া কমেছে অনেক। কিন্তু মেট্রোরেলে চড়তে না পেরে হাজারো মানুষ বাসা ফিরে গেছে।

তবে ১ম ও ২য় দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে তৃতীয় দিনে।

ডিএমটিসিএল এর এক ঊর্ধতন অফিসার বলেন, ৩য় দিনে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অথচ প্রথম ও ২য় দিনের যোগ ফলের থেকেও বেশি। এর উৎকৃষ্ট রিজন মানব আস্তে ধীরে অভ্যাস্ত হচ্ছে। আমার আস্থা সামনের দিনগুলোতে আরও বহু আয় হবে। কারণ মেট্রোরেলের বরণ ক্ষমতার কোনো প্রবলেম না, প্রবলেম হচ্ছে টিকিট যোগাড় করা। যাত্রীদের টিকিট সরবরাহ যতো স্মুথ করবো ততোই আয় বাড়বে মেট্রোরেলে।

জানা গেছে, মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহন অ্যারেঞ্জমেন্টে নিউ একটি যুগ। রাজধানীতে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে। যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী দেখছে ব্যস্ত পথের ভিতরে পিলার বসিয়ে সৃষ্টি উড়ালপথে ছুটে চলছে ট্রেন। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা হতে আগারগাঁও চলে আসতে চলেছে মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এর পরে ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় মেট্রোরেল।