মডেলের ছদ্মবেশে ১০ বছর আত্মগোপন, অবশেষে গ্রেফতার
রাজধানীর শাহ আলী থানায় কর্মরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবিরকে (৪৪) নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া ওরফে সুহাসিনী ওরফে অধরাকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রাজধানীর মেরুল বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ার থেকে ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতে জড়িয়ে পড়েন রিয়া। এক পর্যায়ে তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে কৌশলে সুহাসিনী ওরফে অধরা নামে পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেন।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবনে এএসআই হুমায়ুন কবিরকে শ্বাসরোধের পর বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে রিয়া। এরপর ১০ বছর ধরে পলাতক।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, এএসআই হুমায়ুনকে হত্যার পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন রিয়া। পরে ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সনদ তৈরির পর ঢাকায় এসে একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর কাজ নেন।
২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে কৌশলে সুহাসিনী ওরফে অধরা নামে পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেন। ওই নামে চিত্রজগতে নিজেকে বিখ্যাত মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের একটি বাসায় নিজেকে আত্মগোপন করে বসবাস করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, দুটি মোবাইলফোন ও পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা জাল এসএসসি সনদ জব্দ করা হয়।
What's Your Reaction?