পিটার হাস ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভুল দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহীনবাগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এ উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। শাহীনবাগে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় রাষ্ট্রদূত আতঙ্কিত হয়ে নিজেই বিষয়টি সঙ্গেসঙ্গে তার সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছেন।
কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকার একদিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে গিয়েছিলেন ২০১৩ সালে গুম হওয়া বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের শাহীনবাগের বাসায়। ওখান হতে বেড়িয়ে এলে সড়কের উপর থাকা কিছু লোক তাকে ঘিরে হট্টগোল করে। পরে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বরত এবং থানাপুলিশ সদস্যদের সহায়তায় গাড়িতে উঠে চলে যান। মূলত ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
এর প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ঢাকায় রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিরাপত্তা নিয়ে থাকায় সেদিন বৈঠক সমাপ্ত না করে সেখান হতে চলে যান পিটার হাস। হট্টগোলে পরে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছুটে গিয়ে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এই কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এই কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ‘হঠাৎ করেই জরুরী ভিত্তিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমার সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে উনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) বললেন, একটি বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাসার বাইরে অনেক মানুষ ছিল। তারা উনাকে কয়েকটি একটা বলতে চাচ্ছে। উনার সিকিউরিটির লোকেরা উনাকে বলেছে- আপনি তারাতারি এখান হতে চলে যান। কারণ, ওরা (লাকগুলো) আপনার গাড়ি ব্লক করে দিবে। নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) তারাতরি চলে গেছেন এবং এতে উনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
আমি ওনাকে বললাম- আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের। আপনার উপর বা আপনার রোকের উপর কেউ আক্রমন করেছে? উনি বললেন যে, না। গাড়িতে হয়তো দাগ লেগেছে। আমি বললাম আপনি যদি অধিকতর নিরাপত্তা চান আমরা দেব। আপনি কিছু দূরে গেছেন এই খবরটা কে প্রকাশ করলো? আমি বা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো কিছুই জানিনা। আমরা আপনার সিকিউরিটি দেব। কিন্তু উনি একটু দুশ্চিন্তায় আছেন।
What's Your Reaction?