পাকিস্তান হয়তো ১৯৭১ সালের কষ্ট ভুলে যেতে পারেনি: বিলাওয়ালকে ভারতের মন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে জানানো হয়েছে, ‘এই মন্তব্য অতি নিম্নমানের এবং তা পাকিস্তানের সঙ্গেও যায় না।
গত বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে বিলাওয়াল ভুট্টো জাতিসংঘে বলেছিলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন, তবে গুজরাটের কসাই জীবিত; আর উনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।’ এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র’ বলা হয় উল্লেখ করেছিলেন।
আরও পরুনঃ শোকের ছায়া দেবের পরিবারে
আজ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দিনটির দিকে আভাস করে ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষণে হয়, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চয়ই ১৯৭১ সালে আজকের দিনটির কথা ভুলে গেছেন। বাঙালি এবং হিন্দুদের বিপক্ষে পাকিস্তান গভর্নমেন্ট যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তার ফলেই ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল। নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের সাথে পাকিস্তানের আচরণ এখনো বদলায়নি বলে মনে হচ্ছে।’
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘নিউইয়র্ক, মুম্বাই, পুলওয়ামা, পাঠানকোট ও লন্ডনের মতো শহরগুলো পাকিস্তানের মদদপুষ্ট, সমর্থিত ও প্ররোচিত সন্ত্রাসীদের হামলার আঘাত বয়ে বেড়াচ্ছে। এ সহিংসতার সূচনা তাদের (পাকিস্তান) বিশেষ সন্ত্রাসী অঞ্চলগুলো থেকে এবং তা বিশ্বের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। “পাকিস্তানে তৈরি” সন্ত্রাসবাদ থামাতে হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, পাকিস্তান হচ্ছে সেই দেশ, যারা ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ বলেছিল। এ ব্যতীত তারা লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মির এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসীদের ছায়া দেয়। পাকিস্তানের ১২৬ লোক সন্ত্রাসী এবং ২৭ সন্ত্রাসী সংগঠন জাতিসংঘের তালিকায় রয়েছে, যা ভিন্ন কোনো রাষ্ট্রের নেই।
বিলাওয়াল ভু্ট্টোর মন্তব্যে চটেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাষা ইউজ করেছেন, তা হতে বোঝা যাচ্ছে উনি শুধু একটি দেউলিয়া দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন না; বরং মানসিকভাবেও উনি দেউলিয়া।’
আর বিলাওয়ালের মন্তব্যকে ‘জঘন্য ও লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘মনে হয় এখনো ১৯৭১ বছরের কষ্ট ভুলে যেতে পারেনি। ওই দিন (১৬ ডিসেম্বর) ৯৩ হাজারের অধিক পাকিস্তানি সেনা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এই পরাজয়ের পর তাঁর নানা (পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো) কেঁদেছিলেন।’
What's Your Reaction?