জার্মানিতে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা এইচআইভি ব্যক্তি সুস্থ
নেচার মেডিসিনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস জানায়, ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০১৪ সালে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করেছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে উনি এইচআইভির ওষুধ অফ করে দেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা ব্যক্তির এইচআইভি ভাইরাসের শনাক্তযোগ্য কোনো চিহ্ন নেই।
নেচার মেডিসিনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস জানায়, ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০১৪ সালে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করেছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে উনি এইচআইভির ওষুধ অফ করে দেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা ব্যক্তির এইচআইভি ভাইরাসের শনাক্তযোগ্য কোনো চিহ্ন নেই।
রোগীর চিকিৎসক ডা. বজর্ন-এরিক ওলে জেনসেন জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই তার রোগীর দেহে সক্রিয় এইচআইভির কোনো লক্ষণ ছিল না। যদিও তাকে এখনও পরিপূর্ণ সুস্থ ঘোষণার সময় আসেনি।
এইচআইভি হতে নিরাময় হওয়া ১ম ছিলেন টিমোথি রে ব্রাউন। এ ব্যতীত ২০১৯ সালে আরও তিনজন সুস্থ হয়েছেন। পূর্বের চারজনই স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন। ডা. বজর্ন-এরিক ওলে জেনসেন বলেন, ‘আমি মনে করি এই পাঁচজনের সুস্থতা আমাদের নিরাপদ পদ্ধতি প্রয়োগে উৎসাহিত করবে।’
২০২১ সালে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বে প্রায় ৩৮ মিলিয়নের বহু মানুষের এইচআইভি রয়েছে। এদের ভিতরে ৩৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক তার সাথে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ১৫ বর্ষের কম বয়সী শিশু।
এইচআইভি, বা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি এইরকম ১টি ভাইরাস, যা দেহের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে এবং যদি সেবা করা না হয়, কিন্তু এটা এইডসে রূপান্তর হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানায়, এ ম্যালওয়্যারের কোনো কার্যকর নিরাময় নেই।
ভাইরাসটির কোনো নিরাময় না থাকা সত্ত্বেও কিছু গবেষক চিকিৎসা হিসেবে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োগ করার জন্য আরম্ভ করেন। তারই দারুণ ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস।
What's Your Reaction?