চিকিৎসা সেবায় বাড়ছে বৈষম্য - গরিবদের চেয়ে ৮ গুণ বেশি খরচ করেন ধনীরা

দেশের স্বাস্থ্যখাতের কংকালসার চেহারা ফুটে ওঠে করোনাকালে। তবে টিকাদান এবং সংক্রমণ কমে আসায় পরিস্থিতি সামলে ওঠে প্রশাসন। তারপরও চিকিৎসা সেবায় বাড়ছে ধনী-গরিব বৈষম্য।

Jan 7, 2023 - 17:29
 0
চিকিৎসা সেবায় বাড়ছে বৈষম্য - গরিবদের চেয়ে ৮ গুণ বেশি খরচ করেন ধনীরা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শরীর অর্থনীতি ইউনিটের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দেশে চিকিৎসা খরচের ৬৮.৫ শতাংশ বা দুই তৃতীয়াংশ  হয়  পর্যায়ে। এখানে সরকারের অংশ মাত্র ২৩.১ শতাংশ। যা ২০১৫ সালে ছিল ২২.৮ শতাংশ। বাকিটা উন্নয়ন সহযোগীদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে অপর্যাপ্ত ডায়াগনস্টিক সুবিধা, প্রয়োজনীয় ওষুধের অপ্রাচুর্য ও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ খরচ করার সামর্থ্য প্রস্তুত না হওয়ায় এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

নিম্ন আয়ের মানুষের চেয়ে ৮ গুণ বেশি খরচ করেন ধনীরা। এতে চিকিৎসা সেবায় খরচের দুই তৃতীয়াংশের বেশি ব্যয় লোক পর্যায়ের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, স্কিলফুল জনবল ও জবাবদিহিতা শিওর করা গেলে দ্রুত কমে আসবে এ বৈষম্য।

আরও পড়ুনঃ আ.লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে আছে : প্রধানমন্ত্রী

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনোমিক্স এর অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুুল হামিদ বলেন, সরকার বাজেটের যেই ২৩% অর্থ মানে ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে তা যেমন চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল তেমনি এ ৩৭ হাজার কোটি টাকা যদি আমরা ঠিকঠাক ব্যবহার করার জন্য পারতাম তাহলেও কিন্তু আমাদের ব্যক্তির যে অতিরিক্ত ব্যয় সেটি অনেকাংশে কমে যেতো। সরকারী হাসপাতালে আমরা দেখতে পাই ডায়াগনস্টিক সেবার খুবই বাজে অবস্থা। আবার রোগীরা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত  পায় না। অর্থাৎ হাসপাতালগুলো এখনও রোগীদের ঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না।

তবে শরীর অর্থনীতি ইউনিট বলছে, মানুষ শ্রেণির খরচের গতি ইদানিং আস্তে হচ্ছে। কিন্তু, নিম্নআয়ের রোগীদের চেয়ে ৮ গুণ অধিক খরচা করতে চান ধনীরা।

আরও পড়ুনঃ কারা আগে পরিচালনা করবে বিশ্ব ইজতেমা, জুবায়ের না সাদ গ্রুপ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এ বিষয়ে হেলথ ইকোনোমিক্স ইউনিট এর ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল বলেন, রাষ্ট্রীয় ডাক্তারখানায় সবাই যদি একজন প্রফেসরের চিকিৎসা নিতে চায় সেক্ষেত্রে রোগীর ভিড় পর্যাপ্ত বেড়ে যাবে ও প্রফেসরের সাক্ষাৎ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টাইম লেগে যাবে।

ডা. সুব্রত আরও বলেন, যাদের কাছে টাকা আছে, খরচ করার ইচ্ছা রয়েছে তারা তবুও এতো সময় অপেক্ষা করবে না। তারা চলে যাবে প্রাইভেট হাসপাতালে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ফাইভ স্টার হোটেলের মত ১০ হাজার টাকা বেড ভাড়ার রুম রয়েছে। ধনীরা অল্প সর্দি-কাশি হলেও প্রাইভেট হাসপাতালের প্রফেসরের শরণাপন্ন হয়ে হাজার হাজার টাকা খরচা করে আর গরীব রোগীরা কঠোর রোগেও ভাল চিকিৎসক দেখাতে পারেন না।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow