আপিল বিভাগে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আপিল বিভাগে বহাল রাখা হয়েছে। ৩০ দিনের ভিতরে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে সেরা বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন। 

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন বড় আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

আরও পড়ুনঃ  পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল দেড় কোটি টাকা

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর প্রথমে গত ৩ জানুয়ারি তাদের দুজনকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর তাদের জামিন ঠেকাতে আবেদন বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অতঃপর ৪ জানুয়ারি প্রভাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে সর্বমোট চারবার ফখরুল এবং আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবে নুরকে ‘মারধর’, ভিডিও ভাইরাল

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে  করা হয়। তাদের ভিতরে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে সেখানে মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

৮ ডিসেম্বর গভীর রাত্রিতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল এবং আব্বাসকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। (ডিবি)। দুজনকে শুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়ে যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন তাদের পল্টন উপজেলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।