ভয়াভহ অবস্থায় ফেলে চলে গেছে অন্যরা’, করুণ কণ্ঠে বললেন এক ইউক্রেনীয় সেনা
ইউক্রেনের ডনবাসের সোলদার শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত কয়েকদিনে তুমুল লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে। বর্তমানে শহরটি কোন পক্ষের দখলে আছে সেটি নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা বলেন ওই সেনা। নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি মার্কিন গণমাধ্যমটি। তিনি জানিয়েছেন, সোলদারে আটকে গেছে তার ইউনিট। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সহায়তা করার বদলে অন্য ইউনিটগুলো তাদের ফেলে চলে গেছে।
তবে সেখানকার পরিস্থিতি যে বেশ জটিল সেই চিত্র ওঠে এসেছে ইউক্রেনের একজন সেনার সাক্ষাৎকারে।
এ ব্যাপারে সিএনএনকে ফোনে ওই সেনা বলেছেন ‘আমরা এখান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রুশ সেনারা ইতোমধ্যে এখানে চলে এসেছে। যদি আজ প্রত্যাহারের আদেশ না আসে তাহলে আমরা বের হওয়ার আর কোনো সময়ই পাব না। আমাদের বলা হয়েছিল আমাদের প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এখন আমাদের ফেলেই চলে গেছে অন্যরা।’
তিনি জানিয়েছেন, সেনাদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে আসছে। তবে তাদের কাছে এখনো কিছু অস্ত্র আছে।
নাম না জানা ওই সেনা আরও বলেছেন, ‘তিনদিন আগে কিছু সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শেষ পর্যন্ত সোলদারকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি টের পেয়ে আমাদের আশপাশের ইউনিটগুলো সরে গেছে অথবা তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে থাকার জন্য।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু সম্ভব নিজেদের অবস্থান ধরে রাখব। কিন্তু যে কেউই ক্লান্ত এবং সহ্য সীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। শুধুমাত্র মনোবল দিয়ে দীর্ঘ সময় যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান ধরে রাখা যায় না।’
এদিকে সেনারা পর্যাপ্ত অস্ত্র ও রসদ না পাওয়ার অভিযোগ জানানোর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সোলদার রক্ষার দায়িত্বে থাকা সব সেনাদের দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হবে।
What's Your Reaction?