পাইলস কেন হয়, লক্ষণ

পায়ুপথের রোগগুলোর মধ্যে পাইলস ও ফিস্টুলা অন্যতম।  এই রোগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।  সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা না নিতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।  অনেক সময় ক্যান্সারও হতে পারে।

Feb 21, 2023 - 16:53
 0
পাইলস কেন হয়, লক্ষণ
সংগ্রহীত ছবি

পায়ুপথের রোগগুলোর মধ্যে পাইলস ও ফিস্টুলা অন্যতম।  এই রোগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।  সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা না নিতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।  অনেক সময় ক্যান্সারও হতে পারে।

সাধারণত বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে।  যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়।  এর নাম হেমোরয়েডস বা পাইলস।

যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ এবং প্রদাহ হয়, চাপ পড়ে তখন হেমোরয়েডস বা পাইলসে প্রদাহ হয়।  যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শ্বরোগ বলা হয়।

পাইলস দুই ধরনের হয়ে থাকে-

অভ্যন্তরীণ পাইলস

  • অভ্যন্তরীণ পাইলস মলদ্বারের ভেতরে থাকে। এগুলো সাধারণত দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না এবং এ গুলো খুব কমই অস্বস্তির কারণ হয়।

বাহ্যিক পাইলস

  • মলত্যাগের সময় বাহিরে চলে আসে আঙুল দিয়ে ঢুকাতে হয়। অন্ত্রের নড়াচড়ার সময় ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ ও মলদ্বার ব্যথা এবং জ্বালা হয়। 

পাইলসের কারণ -


  • পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।
  • গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণেও এ রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।

পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলি এখানে:

  • পায়ূ অঞ্চলে ব্যথা এবং চুলকানি। 
    মল বা মলত্যাগের পর রক্ত।
    মলদ্বারের চারপাশে একটি শক্ত গলদা।
    অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের লক্ষণ:
  • মল অতিক্রম করার সময় অতিরিক্ত চাপ বা জ্বালা হতে পারে।
    মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত।
    যদি পাইলস প্রল্যাপস, ব্যথা এবং জ্বালা হয়।
    বহিরাগত অর্শ্বরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।
    মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক মাংসল গলদ।
    বসার সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
    মলদ্বারে রক্তক্ষরণ।

প্রতিরোধে করণীয়

  • ১. আশসমৃদ্ধ খাবার খান। বেশি ফলমূল, শাকসবজি এবং শস্য খান ও প্রচুর তরল পান করুন। মলকে নরম রাখতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস পানি এবং অন্যান্য তরল (অ্যালকোহল নয়) পান করুন। 
  • ২. মল পাস করার চেষ্টা করার সময় শ্বাস ধরে রাখবেন না। এতে নিচের মলদ্বারের শিরাগুলোতে আরও বেশি চাপ তৈরি করে। 
  • ৩. তাগিদ অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে মলত্যাগ করতে হবে। 
         
    ৪. দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। এতে মলদ্বারের শিরাগুলোতে চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • ৫. ব্যায়াম করুন, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করবে ও শিরাগুলোতে চাপ কমাবে। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow