নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যা : মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক বছরের শিশু মরিয়মকে হত্যার দায়ে শিশুটির মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড এবং শিশুটির মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া উভয়কেই ৫০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

Feb 26, 2023 - 17:40
 0
নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যা : মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
সংগ্রহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক বছরের শিশু মরিয়মকে হত্যার দায়ে শিশুটির মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড এবং শিশুটির মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া উভয়কেই ৫০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া বিলকিস বেগম (২৪) পটুয়াখালী জেলার নয়া হাওলাদারের মেয়ে এবং প্রেমিক সোলাইমান (৩২) জামালপুর জেলার লিচু আকন্দের ছেলে।

মামলার নথির বরাতে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মাকসুদা আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম নন্দলালপুর এলাকার একটি চারতলা ভবনের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে মরিয়াম নামে এক বছর বয়সী মেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

________________________________________________________________

আরও পড়ুনঃ  নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন পেছাল
________________________________________________________________

পরে ওই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, হত্যা মামলাটির তদন্তে পুলিশ নিহতের মা বিলকিস ও তার পরকীয়া প্রেমিক সোলাইমানের সম্পৃক্ততা পায়। গ্রেপ্তারের পর তারা দুজনই ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা দুইজন মিলে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গুমের জন্য ওই ভবনের সীমানা প্রাচীরের ভেতর ফেলে রাখেন।”

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহমেদ বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকার বেকারি গলি থেকে একবছর বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর তিন দিন পর অজ্ঞাত দম্পতির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ।

এরপর শিশুটির মায়ের খালা শিশুটিকে শনাক্ত করে জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিকসহ শিশুর মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরের বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাকসুদা আহমেদ জানান, দীর্ঘ তিন বছর তদন্ত শেষে এবং ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতেও সাজা বহাল থাকার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow