চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত
সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০ টায়। সাদ্রা গ্রামে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. শামসুল আমিন মুন্সি জানান, সকাল ঠিক সাড়ে ৮টায় তাদের মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মো. রহমত উল্লাহ।
এর আগে গত ২২ মার্চ থেকে প্রথম রোজা পালন শুরু করেন এই মতের অনুসারীরা। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ২৯ রোজা হওয়ায় শুক্রবারই ঈদুল ফিতর উদযাপন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এমন রেওয়াজ চালু করেছেন জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে চালু রয়েছে এমন রীতি। শুধু ঈদুল ফিতর নয়, ঈদুল আজহাও একই নিয়মে উদযাপন করছেন তারা।
সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
What's Your Reaction?